মনিরুল ইসলাম: [২] চাকরিজীবী ছেলে বা মেয়ে একে-অপরে কোনো চাকরিজীবীকে বিয়ে করতে পারবেন না এমন প্রস্তাব উঠেছে জাতীয় সংসদে। বগুড়া- ৭ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু এ প্রস্তাব করেন।
[৩] তিনি দাবি করেন, বেকারত্ব কমানো ও গৃহকর্মীদের দ্বারা শিশু নির্যাতন বন্ধে এমন পদক্ষেপ সুফল বয়ে আনতে পারে।
[৪] রেজাউল করিম বাবলুর এই প্রস্তাব অসাংবিধানিক বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘বাকস্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে যা কিছু মনে আসবে, তাই বলা যেতে পারে। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি যা খুশি তা গ্রহণ করতে পারবো না।
[৫] বুধবার জাতীয় সংসদে ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১’-এর সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে অপ্রাসঙ্গিক প্রস্তাব করেন বগুড়ার সংসদ সদস্য। তার এ প্রস্তাবের সময় সংসদে হাসাহাসি শুরু হয়।
[৬] রেজাউল করিম বাবলু বলেন, করোনার কারণে ৪ কোটি জনগোষ্ঠী বেকার হয়েছে। আমাদের দেশে প্রচলিত সামাজিক রেওয়াজ আছে। চাকরিজীবী কোনো পুরুষ, চাকরিজীবী নারীকে বিয়ে করতে চান। আবার চাকরিজীবী নারীও একজন চাকরিজীবী পুরুষকে বিয়ে করতে চান। এতে কিন্তু বেকার সমস্যার সমাধান হয় না।
[৭] তিনি বলেন, এখানে আইনমন্ত্রী আছেন, উনাকে নিবেদন করবো- এমন একটি আইন উনি সুবিধাজজনকভাবে করবেন যে, কোনো চাকরিজীবী নারী কোনো চাকরিজীবী পুরুষকে বিয়ে করতে পারবেন না। আর কোনো চাকরিজীবী পুরুষও কোনো চাকরিজীবী নারীকে বিয়ে করতে পারবেন না। তাহলে আমাদের বেকার সমস্যাটা অনেকাংশে লাঘব হবে। এ প্রস্তাবটি আমলে নিয়ে ৪ কোটি বেকারের কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
[৮] প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে এমপি বাবলু বলেন, ‘আমার প্রস্তাবের পেছনে আরও একটি কারণ আছে। যখন চাকরিজীবী দম্পত্তি অফিসে যান, তাদের শিশু সন্তানরা গৃহকর্মীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়।
[৯] তার প্রস্তবাবের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সংসদ সদস্য বললেন ছেলে চাকরি করলে তাকে চাকরিজীবী মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেয়া যাবে না। এমন প্রস্তাব নিয়ে আমি এখান থেকে দু’কদমও হাঁটতে পারবো না। এটা অসাংবিধানিক প্রস্তাব।
[১০] তিনি বলেন, ‘কীভাবে এ প্রস্তাব এখানে (জাতীয় সংসদে) এলো বুঝতে পারলাম না।