শিমুল মাহমুদ: [২] সারাদেশে করোনা রোগীর জন্য নির্ধারিত শয্যা রয়েছে ১৬ হাজার ৪৭১টি। এসব হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ হাজার ৩৮১ জন, আর শয্যা খালি রয়েছে ১২ হাজার ৯০টি। অপরদিকে, সারাদেশে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) রয়েছে ১৩০০টি। আইসিইউতে রোগী ভর্তি আছেন ৬৬০ জন, আর শয্যা খালি রয়েছে ৬৪০টি।
[৩] এদিকে করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় রাজধানীর সতেরোটি হাসপাতালকে নন-কোভিড সেবা চালুর মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দ্রুতই সব হাসপাতালে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।
[৪] তিনি বলেন, আগের তুলনায় করোনা রোগীর সংখ্যা কমেছে। এখন নন-কোভিড সার্ভিস বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যাক হাসপাতালকে।
[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা জানান, করোনা সংক্রমন আরেকটু কমলে সব হাসপাতালে চিঠি পাঠানো হবে। এখন যেহেতু ডেঙ্গুর প্রকোপটা বেড়েছে তাই আমরা ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার কথা বলেছি। আস্তে আস্তে অন্যান্য রোগীদেরও সেবা চালুর জন্য আমরা নির্দেশনা দিব। এখনো অফিসিয়ালভাবে কাউকে চিঠি দেয়া হয়নি। খুব দ্রুতই চিঠি পাঠানো হবে।
[৬] ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিউয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, আমরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি বৈঠক করবো। বৈঠকে কে কি বলে তার উপর ভিত্তি করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠাবো। মন্ত্রণালয় আমাদেরকে যেভাবে নির্দেশনা দিবে আমরা সেভাবেই কাজ করবো।
[৭] রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে নন-কোভিড রোগীদের ভর্তি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের কিছু কিছু ওয়ার্ডকে যেগুলোতে করোনা রোগী কমে গেছে সেগুলোকে আমরা নন-কোভিড সেবার জন্য চালু করে দিব। আশা করছি ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে কোভিড এবং নন-কোভিড দুই সেবাই আমরা ঠিকমত দিতে পারবো।
আপনার মতামত লিখুন :