মমতাজুর রহমান: [২] জন দূরভোগান্তির আরেক নাম আদমদীঘি-আবাদপুকুর সড়ক। আদমদীঘি হতে আবাদপুকুর যাওয়ার একমাত্র প্রধান সড়কটির বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। খানা খন্দকে ভরপুর সড়কটি কয়েক বছর সংস্কার না করায় পুরো অংশ জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। আর এই সব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে চলাচলের সময় ঘটছে নানান দুর্ঘটনা।
[৩] জানা যায়, রাণীনগর উপজেলার বাণিজ্যিক রাজধানী আবাদপুকুর থেকে পার্শ্ববর্তী বগুড়া জেলার আদমদীঘি হয়ে নওগাঁ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচলের এটিই একমাত্র প্রধান সড়ক। প্রতিদিন দুই উপজেলার ৩০টি গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে। আবাদপুকুর থেকে আদমদীঘি যাওয়ার এই ১৪কিলোমিটার সড়কের পুরো অংশই ছিলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন।
[৪] আদমদীঘি উপজেলার কুসম্বী বাজার পর্যন্ত সড়কটি পুনরায় পুর্ননির্মাণ করায় সেই দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হলেও কিছু অংশ এখনোও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন। কিন্তু আদমদীঘি উপজেলার কুসম্বী বাজারের দক্ষিনে কিছু অংশ ও রাণীনগর উপজেলার ৮কিলোমিটার সড়কটির পুরোটাই বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সড়কটির পুর্ননির্মাণ/সংস্কার না করায় কুসম্বী বাজারের পর থেকে পারইল লস্করের মোরের আগে,পারইল ব্রিজের দক্ষিনে, বগারবাড়ি বাজার, আবাদপুকুর এলাকার অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তায় চলাচলে প্রায় দিন ঘটছে নানান দুর্ঘটনা।
[৫] পথচারী আদমদীঘি উপজেলা টেকনিশিয়ান মোস্তাফিজ আহমেদ, আব্দুল আলীম, সামিউল ইসলামসহ অনেকেই বলেন বেশ কয়েক বছর আগে আদমদীঘি-আবাদপুকুর রাস্তার কাজ হয়েছে। তার পর হতে দীর্ঘদিন যাবত আবাদপুকুর-রাণীনগর সড়কটির পুর্ননির্মাণের কাজ বন্ধ থাকায় হাজার হাজার মানুষ ও ছোট-বড় যানবাহন নওগাঁ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচলের জন্য এই সড়কটিই ব্যবহার করে আসছেন।
[৬] বর্তমানে এই সড়কের মাঝে মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। এখন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তাদিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে প্রায় গাড়ী উল্টোসহ ঘটছে নানান দুর্ঘটনা। দ্রুত এই জনগুরুত্বপূর্ন সড়কটি দীর্ঘস্থায়ী ভাবে পুর্ননির্মাণ করা প্রয়োজন।
[৭] আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী মো: সাজেদুর রহমান বলেন এই সড়কটি আমাদের উপজেলার বেশির ভাগ অংশ পুর্ননির্মাণ করা হয়েছে। বাকি অংশ পুর্ননির্মাণ/সংস্কার কাজের চাহিদা একটি প্রকল্পের আওতায় এনে তা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন দিয়ে অর্থ বরাদ্দ দিলেই সড়কটির প্রস্তুত ও পুর্ননির্মাণ/সংস্কার কাজ করা হবে। সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস