লিহান লিমা: [২] শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট (এপিক) এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলের বিষাক্ত বায়ু পরিশুদ্ধ করলে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের মানুষের আয়ু ৫ বছর ৬ মাস বৃদ্ধি পাবে। ফোর্বস
[৩] এপিক এর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স এর তথ্য থেকে জানা যায়, যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে বায়ু দূষণ কমিয়ে আনা হয় তাহলে একজন ব্যক্তি গড়ে অতিরিক্ত ২.২ বছর পাবেন। এই সুবিধাটি সবচেয়ে বেশি অর্জিত হবে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত অঞ্চল ভারতীয় উপমহাদেশে- সেখানে বায়ুর মান এই মাত্রার উত্তীর্ণ করা গেলে মানুষের আয়ু বাড়বে অন্তত পাঁচ বছর।
[৪] প্রতিবেদনে দেখানো হয়, এই একই নীতি কার্যকর করা গেলে এটি জীবাশ্ম জ্বালানি নির্গমন হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে সাহায্য করবে। নতুন নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দূষিত বায়ু শহর বা দেশের সীমানা অতিক্রম করে গেলেও দূষণের উৎসগুলো মূলত স্থানীয় তাই স্থানীয় পর্যায়েই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
[৫] একিউএলআই এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত দেশ-বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তানে বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় এক চর্তুথাংশ বাস করেন এবং এই দেশগুলোর বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি দূষিত দেশ।
[৬]এতে বলা হয়, এই অঞ্চলগুলোর বাসিন্দারা দূষলের চরম মাত্রার মধ্যে জীবন-যাপন করছেন। দিল্লী এবং কলকাতায় ২০১৯ সালের বায়ু দূষণের মাত্রা অব্যাহত থাকলে আয়ু ৯ বছরেরও বেশি হ্রাস পাবে।