মনিরুল ইসলাম ও মহসীন কবির: [২] বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় পরীমণি সাদা পোশাকে ছিলেন। এসময় তিনি একটি সাদা গাড়িতে করে কারাগার চত্তর থেকে বের হন। ভাক্তরা তাকে অভিনন্দন জানান, তিনি হাত নেড়ে অভিনন্দনের জবাব দেন। তার চোখে ছিল কালো সানগ্লাস। একইসাথে নিজের মোবাইল দিয়ে তিনি গাড়িতে থেকেই সবার সাথে ছবি তুলেন। ঠোঁটে ছিল লাল রঙের লিপিস্টিক।
[৩] কারা ফটকের সামনে পরীমনির খালু মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, খালাতো ভাই ফেরদৌস, ও তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীসহ পরিবারের একাধিক সদস্য এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া পরীমণির আইনজীবী প্যানেলের কয়েকজন সদস্যও তাদের সঙ্গে রয়েছেন।
[৪] বেলা ১২টা ৫৮ মিনিটের দিকে পরীমনিকে বহনকরা গাড়িটি তার বাসভবনের সামনে পৌঁছায়। ঠিক দুপুর ১টায় সাদা রঙের গাড়ি থেকে নামেন পরীমনি। তার হাতে ফুলের তোড়া দেখা গেছে। এ সময় তার আইনজীবী নিলাঞ্জনা রিফাত সুরভী গাড়িতে ছিলেন। গাড়ি থেকে নেমে সোজা লিফটে ওঠে যান পরীমনি।
[৫] আটকের ২৬ দিন পর অবশেষে জামিন পান চিত্রনায়িকা পরীমণি। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে জামিন ঘোষণা করেন।
[৬] এর আগে গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন জানান, ‘নিয়ম মোতাবেক কোনো আসামির জামিন হলে সে জামিননামা বিকেল পাঁচটার মধ্যে আমাদের কাছে এলে আমরা কারামুক্ত করি। কিন্তু পরীমণির জামিননামা এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে পৌছায়নি। তাই আজ (মঙ্গলবার) জামিন হলেও কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। তবে কারাগারে তাঁর জামিনের কাগজপত্র পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই শেষে মুক্তি দেওয়া হবে।
[৭] গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এসময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওইদিন রাত সোয়া ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমনিকে ৪ দিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় ২ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
[৮] পরে ১৩ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল। আদালতের আদেশে ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ওই কারাগার থেকে গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় পরীমনিকে এক দিনের রিমান্ডে ঢাকায় নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট পুনরায় পরীমনিকে এ কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি ১৯ দিন কারাগারে ছিলেন।