ইমরুল শাহেদ: মাদককান্ডে গ্রেপ্তার হওয়া পরীমণিকে নিয়ে প্রযোজক, পরিবেশক ও পরিচালক খোরশেদ আলম খসরু বলেছেন, ‘আমরা মূলত এখনো প্রশাসনের কথাই শুনতে পাচ্ছি। পরীর বক্তব্য এখনো শুনতে পাইনি। তাই তাকে নিয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে। আইন নিজের গতিতে চলবে। সে এখন অভিযুক্ত। দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তি হবে।
তখন না হয় তাকে নিয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।’ পরীমণি গ্রেপ্তার হওয়ার পর শিল্পী সমিতি তড়িঘড়ি তার সদস্যপদ স্থগিত করার প্রেক্ষিতে চিত্রকর্মীদের মধ্যে একটা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে এবং পরীর পক্ষে একটা মতও গড়ে উঠছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এখন শিল্পী সমিতির সুর বদলাতে শুরু করেছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, প্রয়োজনে অর্থ এবং আইনী সহায়তা নিয়ে সমিতি পরীর পক্ষে থাকতে চায়। কিন্তু পরীর কি এখন আর সে সবের প্রয়োজন আছে? শিল্পী সমিতি যাদের দোহাই দিয়ে পরীর সদস্যপদ স্থগিত করার বিষয়টি বলেছেন, সংশ্লিষ্টরা সমিতির বক্তব্য সত্যনির্ভর নয় বলে উল্লেখ করেছেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, তিনি পরীর সদস্যপদ স্থগিত করতে বারণ করেছিলেন। আলমগীর বলেছেন, পরীর সদস্যপদ স্থগিত করা নিয়ে তার সঙ্গে সমিতির কোনো আলোচনাই হয়নি। মুখ খুলেছেন উজ্জ্বলও। তিনি বলেছেন, পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করাটা এখনই জরুরি নয়। সবকিছু দেখে-শুনে সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন উজ্জ্বল। তারপরও সমিতি পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করেছে। এখন যে প্রশ্নটি সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, সেটা হলো কার স্বার্থে, কেনো এবং কারা পরীমণিকে নিয়ে সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেছেন, মিশা সওদাগর বা তিনি একক কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। তাহলে এই সিদ্ধান্ত কার সেই প্রশ্নটি থেকেই যাচ্ছে। আরেকটি প্রশ্ন হলো, চিত্রকর্মী হিসেবে প্রত্যেককে কি কোনো না কোনো সমিতির সদস্য হতেই হবে? সমিতিভুক্ত হওয়া জরুরি নয়। সেটা পরীমণির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সমিতি কাউকে কাজ দেয় না। তবে সমিতি একটা না একটা কাজে তো আসেই। ক্যারিয়ার এগিয়ে নেওয়ার জন্য সমিতির প্রয়োজন নেই। আর পরীমণির জন্য সেটাতো একেবারেই জরুরি নয়।
আপনার মতামত লিখুন :