অপূর্ব চৌধুরী: [২] একাধিকবার মেয়াদ বৃদ্ধিতে প্রায় ১১ বছর সময়ক্ষেপণের পর অবশেষে খুলতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল 'বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল'। হলটি ছাত্রীদের উঠার জন্য প্রায় প্রস্তুত। প্রণয়ন করা হয়েছে হলের খসড়া নীতিমালা। ক্যাম্পাস খোলার আগেই ছাত্রী হলের সিট বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। সশরীরে ক্লাস শুরু হলেই তোলা হবে ছাত্রীদের।
[৩] এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, হলের কাজ প্রায় শেষ। ফিনিশিং পর্যায়ে আছে। উপাচার্য স্যার আমাদেরকে জানিয়েছেন ক্যাম্পাস খোলার আগেই যেন ছাত্রীদের উঠার জন্য সম্পূর্ণ রেডি হয়ে যায়। এছাড়া আমরা হলের একটি নীতিমালা খসড়া তৈরি করেছি। আগামী সিন্ডিকেট মিটিংয়ে তা পাশ হতে পারে। ক্যাম্পাস খোলার আগেই সিট বরাদ্দের জন্য অনলাইনে আবেদন নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে উপাচার্য স্যার আরও ভালো বলতে পারবেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাধিক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
[৪] জানা যায়, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল নির্মাণের প্রথম দফার মেয়াদ ছিল ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত। কাজ শেষ না হলে বাড়ে মেয়াদ। দ্বিতীয় মেয়াদ ছিল ২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। এরপর তৃতীয় দফায় মেয়াদ ২০১৬ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। সর্বশেষ মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করায় বর্তমানে ফিনিশিং কাজ চলমান রয়েছে।
[৫] এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের কনস্ট্রাকশনের কাজ প্রায় শেষ। কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি আছে। দ্রুতই সেটি শেষ হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে আমরা আমাদের কাজ বুঝিয়ে দেব।
[৬] তবে গত বছরের নভেম্বরে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান নির্মাণ কাজ শেষ না করেই হলটি উদ্ধোধন করেন।উদ্ধোধনের পর থেকেই হলের সিট পাবার আশায় নিজ এলাকার পরিচিত বিভিন্ন বড় ভাই ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে শিক্ষার্থীরা লিঙ্ক লবিং ও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে কোন প্রকার প্রভাব খাটিয়ে হলে সিট পাওয়া যাবেনা।
[৭] এ বিষয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, ছাত্রী হলের নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। আগামী সিন্ডিকেটে তা পাস হবে।নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী হলে ছাত্রী উঠানো হবে।
[৮] তিনি আরও বলেন, কোন ধরনের প্রভাব খাটিয়ে হলের সিট পাওয়া যাবে না। এছাড়া সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হলে উঠানোর জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে। যাদেরকে হলে সিট বরাদ্দ দেয়া হবে ক্যাম্পাস খুললে তারা সরাসরি হলে উঠবে। মেসে বা বাসায় তাদের উঠতে হবে না।