শরীফ শাওন: [২] বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান নন-কটন এবং টেকনিক্যাল টেক্সটাইল ও হাই-এন্ড পোশাক খাতে স্পেনের বিনিয়োগ যেন এদেশে আসে, সে বিষয়ে স্পেনের রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন। বাংলাদেশ যেন সাবলীলভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করতে সক্ষম হয়, সেজন্য স্পেন সরকারকে ট্রানজিশন পিরিয়ড সম্প্রসারণেরও অনুরোধ জানান।
[৩] মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিজিএমইএ অফিসে বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিতেজ সালাসের সৌজন্য সাক্ষাতকালে ফারুক হাসান বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি এবং সামাজিক ও পরিবেশগত টেকসই উনয়নের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতিসহ পোশাক শিল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
[৪] ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের জন্য গৌরবের বিষয় হলো পৃথিবীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সবুজ কারখানার অবস্থান এদেশেই এবং বর্তমানে অনেক পোশাক কারখানাই ইউএস গ্রীণ বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে লীড সনদপত্র পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। পোশাক শিল্পের জন্য এ সময়ের সবচেয়ে অগ্রাধিকামূলক ইস্যুগুলো বিশেষ করে উচ্চ মূল্যের কৃত্রিম তন্তুজাত পোশাক রপ্তানি, নতুন পণ্য উন্নয়ন ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন এবং কারখানার ক্যাপাসিটির সর্বোচ্চ ব্যবহার এর ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
[৫] শিল্পের ভবিষ্যত সম্ভাবনা এবং শিল্পের আপগ্রেডেশন বিশেষ করে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ (বিশেষ করে নন-কটন) নিয়ে আলোচনা হলে, স্পেনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অগ্রগতির ভূয়সি প্রশংসা করেন।