ইমরুল শাহেদ: ২৩ আগস্ট ছিল বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেত্রী সায়রা বানুর জন্মদিন। এ বছর দিনটিকে উদযাপন করেননি তিনি। মাত্র কিছুদিন আগে তার স্বামী কিংবদন্তী অভিনেতা দিলীপ কুমার মারা গেছেন। তার স্বপ্নলালিত অভিনেতা ও অকৃত্রিম ভালোবাসার মানুষ দিলীপ কুমারের মৃত্যুশোক এখনো তার মধ্যে বিদ্যমান। খ্যাতিমান এই অভিনেত্রীর মা নাসিম বানুও ছিলেন একজন খ্যাতিমান অভিনেত্রী। তার পিতা মিঞা এহসান উল হক ছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক।
তিনি পাকিস্তানেও একটি ছবি প্রযোজনা করেছিলেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৬১ সালে শাম্মী কাপুরের বিপরীতে ‘জংলী’ ছবি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এ সময় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, অভিনয় ও নাচে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না তার। তারপরও তিনি এ ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। শৈশবের উল্লেখযোগ্য সময় লন্ডনে ব্যয় করেছেন সায়রা এবং স্কুল জীবনও শেষ হয়েছে সেখানে। এই অভিনেত্রীর জন্মদিনকে উপলক্ষ্য করে ইন্ডিয়া টিভি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে সায়রা বানুর অজানা কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত সায়রা বানু পারিশ্রমিক পাওয়ার দিক থেকে ছিলেন তৃতীয় স্থানে। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত সময়ে তিনি চতুর্থ স্থানে চলে যান।
দিলীপ কুমারের সঙ্গে তার প্রেমকে অমর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। তারা বিয়ে করেন ১৯৬৬ সালে। এছাড়া প্রতিবেদনে তার কিছু বৈশিষ্ট্য ও তার লালিত স্বপ্নের কথা তুলে ধরা হয়। প্রথম দিকের ১২ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি নিজেকে ছেলে ভাবতেন এবং ছেলেদের সঙ্গেই খেলাধূলা করতেন। হতে চেয়েছিলেন একজন গায়িকা এবং দাদীর কাছ থেকে গানের তালিমও নিয়েছেন। সায়রা বানু এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি দিলীপ কুমারকে প্রথম দেখেন ‘আন’ ছবিতে এবং তখনই তার প্রেমে পড়ে যান। সায়রা বানু দুটি স্বপ্ন দেখতেন। তার একটি হলো একজন ভালো অভিনেত্রী হওয়া এবং দ্বিতীয়টি হলো দিলীপ কুমারকে বিয়ে করা। শাম্মী কাপুরের সঙ্গে প্রথম ছবি ছিল বলে ক্যারিয়ারের শেষ ছবিটিও করেন শাম্মী কাপুরের সঙ্গে। এরপর তিনি চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নেন।