শিমুল মাহমুদ: [২] সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ জাতিকে ধোঁকা দেয়। জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তার ভয়ে তারা মিথ্যা বলে। তাকে হেয় করতেই ক্ষমতাসীনরা এসব মিথ্যাচার করছে। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগের লোকেরাই জড়িত ছিলো। এর সঙ্গে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
[৩] মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ইতিহাস জিয়াউর রহমানকে ধারণ করেছে। জনগণের হৃদয় থেকে তাকে মুছে ফেলা যাবে না। সরকার টিকা নিয়ে তেলেসমাতি কাণ্ড করছে।
[৪] পৃথিবীর সব দেশেই করোনার একটা পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেমন তারা টিকার জন্য পরিকল্পনা করেছেন, টিকা ভ্যাকসিনেশনের জন্য পরিকল্পনা করেছে, তেমন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জীবন-জীবিকার পরিকল্পনা করেছে এবং একই সঙ্গে কীভাবে শিক্ষা প্রদান করা যায় সেটার জন্য তারা পরিকল্পনা করেছে। আমাদের এখানে কোনো পরিকল্পনা নেই। এই যে একটা ভয়ংকর ক্ষতি হচ্ছে প্রজন্মের, ক্ষতি করছে প্রজন্মের।
[৫] অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, অনলাইনে কারা পড়ে? একমাত্র যারা বিত্তশালী মানুষ তারাই অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারে, আর তো কারো পক্ষে সম্ভব নয়। একটা কম্পিউটার যোগাড় করা, একটা মোবাইল সেট যোগাড় করা- সারা দেশে সেটা নেই। গ্রামে স্কুল যেগুলো আছে সেগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ। পত্রিকায় দেখেছেন যে, ছেলেরা এখন বেলুন বিক্রি করছে, বাদাম বিক্রি করছে। স্কুল বন্ধ এখন তারা বাবা-মাকে সাহায্য করার জন্য এগুলো করছে। অর্থাৎ দে হেভ বিন অলরেডি ডাইভার্টেড।
[৬] ফখরুল বলেন, এই যে একটা ভয়ংকর ক্ষতি হচ্ছে প্রজন্মের সেই ক্ষতিটা সরকারকে মোকাবিলার করার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা তারা সেভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। তারা আছে শুধু বিভিন্ন রকম ভুল ব্যাখ্যা ও তথ্য দিয়ে জনগনকে বিভ্রান্ত করতে।
[৭] গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির পরিচালিত কোভিড-১৯ হেল্প সেন্টারের জন্য ওষুধ সামগ্রি হস্তান্তর উপলক্ষে জিয়া পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।