লিহান লিমা: [২] ইউনিসেফের নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত, ফিলিপাইন এবং বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশের প্রায় ১’শ কোটি শিশু ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থায় রয়েছে, যা তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ডয়েচে ভেলে
[৩] ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো কোথায় এবং কিভাবে শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তার সম্পূর্ণ চিত্র দেখানো হয়েছে, যা কিনা ভয়ঙ্কর অকল্পনীয়।’ তিনি আরো বলেন, জলবায়ু এবং পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রভাব শিশুদের অধিকার, পরিচ্ছন্ন বায়ু, খাদ্য এবং নিরাপদ পানি থেকে শুরু করে শিক্ষা, আবাসন এবং শোষণ থেকে মুক্তির অধিকার এমনকি বেঁচে থাকার অধিকারকেও সম্পূর্ণভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। কার্যত বিশ্বের কোনো শিশুই এই প্রভাব থেকে সুরক্ষিত নয়।
[৪] ইউনিসেফের ‘অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ’; ‘জলবায়ু সংকট শিশু অধিকারেরই সংকট’ সংক্রান্ত শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ৩৩টি দেশে বসবাসকারী প্রায় ২২০ কোটি শিশুর প্রায় অর্ধেক ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থায় রয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, চাদ, নাইজেরিয়া, গিনিসহ কয়েকটি দেশ।
[৫] প্রতিবেদনে একাধিক জলবায়ু এবং পরিবেশগত বিরুপ প্রভাবের সঙ্গে অপরিহার্য সেবা-পানি এবং স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার সুযোগ সীমিত হয়ে আসার সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। এতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ত্বরান্বিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পরিসংখ্যান আরো খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
[৬] ইউনিসেফের এই প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুইডিশ জলবায়ু অধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ বলেছেন, ‘সর্বশেষ প্রতিবেদনে স্পষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনে শিমুরা কতটা প্রভাবিত হচ্ছে। বিশ্বনেতাদের কথা বলার পরিবর্তে কাজ করতে হবে। যদিও আমি আশা করি না তারা এটি করবেন কিন্তু তারা আমাকে ভুল প্রমাণ করলেই আমি খুশি হব।’