খাজা নিজাম উদ্দিন: সম্পদের হিসাব চেয়েছেন নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখের বেটি কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে যাচ্ছেন? তিনি সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব চেয়েছেন! এটি পদ্মা সেতুর চেয়েও শতগুণ কঠিন কাজ। বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের চুলচেরা হিসাব চাওয়া মানে হলো, স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ ঘোষণা করা। এই ঘোষণা দেয়ার পরে সরকার কি পিছু হটবে নাকি সম্পদের চুল চেরা হিসাব নেয়ার ঘোষণাটা বাস্তবায়ন করবে? আশা করছি, সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের আসল হিসাব তিনি নিতে পারবেন। সেই হিসাব পাওয়ার পরে তিনি হয়তো বেতন বাড়ানোর চিন্তা আর কখনো নাও করতে পারেন। শেখের বেটি না পারলে এই বাংলাদেশে আর কেউ পারবে না। বাংলাদেশে চিরস্থায়ী লুটপাটের যে ব্যবস্থা চালু হয়েছে স্বাধীনতার পর, লুটপাট দুর্নীতির সেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বাতিল করতে হলে, সবার আগে, সবার আগে প্রতিটি সরকারি চাকরিজীবীর সম্পদের চুলচেরা হিসাব নিতে হবে এবং সরকারি চাকরিজীবীরা যারা পাবলিকের পয়সায় সব কিছু পান, তারা তা দিতে বাধ্য। দেখা যাক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের আসল হিসাব চুলচেরাভাবে নিতে পারেন কিনা।
[২] সরকারের কি কোনো দায়িত্ব নেই? ই-কমার্সের নামে যে ভয়াবহ লুটপাট হচ্ছে, সরকার কি কিছুই বলবে না? মাত্র ৫/৬ মাসের মধ্যে ছোটটাই ১ লক্ষ পরিবারকে পথে বসিয়ে হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। টাকার অংক কয়েক হাজার কোটি টাকা হবে। এখনও পুরো হিসাব আসেনি। মাত্র ১টা লুটপাটকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি লুটেরাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? তাহলে বাংলার বেইজসসহ আরও লুটেরারা কী পরিমাণ লুট করছে ভাবা যায়? এভাবে ফ্রি লুটপাট শুধু লাখ লাখ পরিবারকে নিঃস্ব করবে না, সরকারের জন্য মহাবিপদ ডেকে আনবে। আর স্পষ্টত বলতে চাই, যারা টাকা ফেরত পাবেন বলে ৫মাস থেকে শুরু করে ১২/১৩ মাস অপেক্ষা করছেন, তারা টাকা কীভাবে ফেরত পাবেন? টাকা তো লুট হয়ে গেছে। টাকা দিবে কোথা থেকে? টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা অলৌকিক ঘটনা না ঘটলে নাই। আর সরকার যদি সব টাকা দিয়ে দেয়, সেটা অন্য কথা। কীসের জন্য সরকার এইসব বিপদ নিজের ঘাড়ে নিচ্ছে, এর কোনো কূলকিনারা পাচ্ছি না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :