হাসান মামুন: ২০ বছর কম সময় তো নয়। আর সেটা নতুন এক শতাব্দীর সূচনাকাল। এ দীর্ঘ সময়ে আফগানিস্তানের ঘটনাবলী থেকে আশরাফ ঘানি, তার সহযোগী ও সহমতীরা কোনো শিক্ষা না নিয়ে কেবল লুটপাটে নিমগ্ন থাকলেও থাকতে পারে; কিন্তু আমেরিকা শিক্ষা নিয়েছে নিশ্চয়ই আর শিক্ষা নেওয়ার কথা তালেবানের। তারা তো এর আগেও শাসক হয়ে উঠেছিল। ‘মুক্তাঞ্চল’ গড়ে সেখানেও এক ধরনের প্রশাসন পরিচালনা করেছে। সেক্ষেত্রে সমালোচনাই বেশি হয়েছে তাদের। তালেবানের ব্যাপারে ভীতিও ছড়িয়েছে বেশি। তারপর টানা ২০ বছর যুদ্ধে জড়িয়ে থাকায় একটা শিক্ষা তো তাদের হওয়ার কথা।
দুনিয়া বদলেছে এ সময়ে অনেক। আফগানিস্তানেও নানা ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন এসেছেÑ সেটা পশ্চিমা প্রভাবে হলেও। এগুলোকে বিবেচনায় নিয়েই টিকে থাকতে হবে তাদের। ‘ইনক্লুসিভ’ হওয়ার কথা কেবল মুখে বললে হবে না। ধর্ম যতোখানি অনুমোদন করে, তার চেয়েও বেশি ইনক্লুসিভ হওয়ার প্রয়োজনীয়তার মুখে তাদের পড়তে হতে পারে। আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করেও তো পথ চলতে হবে। দখলদার বাহিনী ও এর অনুগত সরকারকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশংসা তারা দেশের বাইরে থেকেও পাচ্ছে।
এখন দেশের মানুষকে যদি মোটামুটি আস্থায়ও নিতে না পারে, ন্যূনতম শৃঙ্খলা ও সুশাসন দিতে ব্যর্থ হয়; তাহলে সে প্রশংসা মিলিয়ে যাবে। অতীতের গুরুতর ভুলগুলো করার কোনো সুযোগ তাদের নেই। সেক্ষেত্রে সাধারণ আফগানদের সঙ্গে তাদেরও কম মাসুল গুণতে হবে না। দেশ পরিচালনার পথটি যুদ্ধজয়ের চেয়ে অনেক বেশি বন্ধুর এর প্রমাণ তো অনেক ক্ষেত্রেই মিলেছে।