শরীফ শাওন: [২] বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, ৫০ বছর পূর্তির প্রস্তুতিপর্বে প্রথমবারের মতো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ও সাশ্রয়ী খরচে দেশেই বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’র সি-চেক কার্যক্রমের সূচনা হলো।
[৩] মঙ্গলবার সি-চেক কার্যক্রম শুরুর সময় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল সকলকে উৎসাহ দিয়ে কার্যক্রম পরিসমাপ্তির আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে অগ্রিম অভিনন্দন জানান।
[৪] বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট পরিদপ্তরের সক্ষমতা অর্জনের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। বিশ্বের খুব স্বল্প সংখ্যক এয়ারলাইন্সেরই বোয়িং-৭৮৭ এর মতো অত্যাধুনিক উড়োজাহাজের সি-চেক করার সক্ষমতা রয়েছে। বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে সি-চেক সম্পন্ন করতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হতো, এখন থেকে উড়োজাহাজ প্রতি আনুমানিক ৬ লক্ষ মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে।
[৪] সি-চেক একটি দীর্ঘমেয়াদী, জটিল এবং উচ্চ কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন চেক যাতে উড়োজাহাজের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্মোচনের মাধ্যমে বিশদভাবে নিরীক্ষান্তে উড়োজাহাজকে নভোযোগ্য করা হয়। সি-চেক প্রতি তিন বছর পর পর সম্পন্ন করতে হয়।
[৬] বর্তমানে বিমান বহরে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন চতুর্থ জেনারেশনের ছয়টি বোয়িং-৭৮৭ (ড্রিমলাইনার) উড়োজাহাজ রয়েছে। যার সবকটিই ইটিওপিএস মানদণ্ড অনুসারে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। উড়োজাহাজগুলো যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার ন্যায় বিভিন্ন দূরবর্তী গন্তব্যে দক্ষতার সাথে স্বল্প জ্বালানি ব্যয়ে চলাচলে সক্ষম।