মুসা কলিম মুকুল: [১] তালেবানের হয়ে লড়তে বাংলাদেশ থেকে অনেকে আফগান দেশে রওয়ানা করেছে। [২] তালেবানের কাবুল ঘেরাওয়ের খবরে নিউজপোর্টালগুলো বাংলাদেশিদের উল্লাসে ভরে গেছে। যারা আফগানিস্তানে যেতে পারেননি তারা হয়তো অদূর ভবিষ্যতে এই দেশে তালেবানি করার সুযোগ পাবেন। এদেশের মাটির সংস্কৃতি আজ পর্যুদস্ত প্রায়, তালেবানি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডই প্রবল। তালেবানি কিংবা সাম্য যেটাই হোক, বীজ হলো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। বাজারি সিনেমা, বাজারি সঙ্গীত, বাজারি খেলাধূলা, বাজারি লেখাপড়া- এ সবই সাম্য ও স্বাধীনতার জন্য প্রতিকূল। বাজারি সংস্কৃতি আপনি তালেবানি সংস্কৃতির সমান্তরাল সমাবেশ ঘটায়।
আশরাফ ঘানিরা ধর্মনিরপেক্ষতার টুপি পরে আসলে দুর্নীতি, লুটপাট করে ঘাপটি মেরে দিন পার করেছে। আর তালেবানরা তালিম ও মাহফিলের নামে তালেবানি সাংস্কৃতিক কাজ চালিয়েছে নির্বিঘ্নেই। ধর্মনিরপেক্ষ কাবুল সরকারের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড কোথায়? কেবল সর্বাধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যায় না, যারা অস্ত্র ধরে তাদের মধ্যে মনোবল থাকতে হয়। তালেবানকে খারাপ বলে কতোদিন পার পাওয়া যাবে? চুরি এবং ভোটচুরি, মুখে নীতিকথা শুনতে শুনতে আফগান খেটে খাওয়া মানুষেরা ক্লান্ত। চোরের মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা শুনতে কার জঘন্য না লাগে? তালেবানি তথা জঙ্গিবাদ অনেকাংশেই হতাশার ফলাফল। বাংলাদেশের যারা আফগানিস্তানে গেছে আর যারা এই দেশে বসে উল্লাস করছে, তারা সংখ্যায় কম, বেশির ভাগ বাঙালি নির্বিকার। সত্য। নির্বিকার লোকেদের গণনায় ধরে কে? ফেসবুক থেকে