শিরোনাম
◈ শান্ত‌কে অ‌ধিনায়ক ক‌রে আয়ারল্যান্ডের বিরু‌দ্ধে বাংলাদেশ টেস্ট দল ঘোষণা ◈ গভর্নরের মর্যাদা মন্ত্রীর সমান করার উদ্যোগ: বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতের প্রস্তাব ◈ বিপিএলের পাঁচ ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত করল বিসিবি  ◈ বিএনপিতে যোগ দিলেন শহিদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ ◈ তিন দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩৫০ মিলিয়ন ডলার ◈ এবার মেডিকেল শিক্ষকদের জন্য সুখবর! ◈ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের কারণ জানাল সরকার ◈ এনসিপিসহ তিন রাজনৈতিক দল যেসব প্রতীক পাচ্ছে ◈ দাম কমল ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের ◈ বিএনপির মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৫ আগস্ট, ২০২১, ০৪:৩২ দুপুর
আপডেট : ১৫ আগস্ট, ২০২১, ০৪:৩২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] স্বাধীনতার ৫০ বছরে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন রেয়াজ উদ্দিন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: [২] বীর মুক্তিযোদ্ধা রেয়াজ উদ্দিন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ শুরু হলে পাক সরকারের চাকুরি প্রত্যাখান করে মুজিব নগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন ভারতের কোচবিহার জেলার শীতকুচির মুক্তিযুদ্ধ যুব শিবিরে। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শিবিরে আশ্রয় নেয়া শরনার্থীদের দেখা শুনার দ্বায়িত্ব পালন করেন। দেশ স্বাধীন হলে তিনি ফিরে আসেন দেশে। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর নাম ওঠেনি মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়।

[৩] গত ২০১৪ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা রেয়াজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক দোলন বাবার স্বীকৃতির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজসহ অনলাইনে আবেদন করেন। অতপর দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর গত ২ আগষ্ট ২০২১ ইং স্বীকৃতি পান।

[৪] বীর মুক্তিযোদ্ধা রেয়াজ উদ্দিন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সাড়ডুবি গ্রামের ছানার উদ্দিনের ছেলে। তিনি ২০০১ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি ১৯৩৮ সালের ৫ মে জন্ম গ্রহন করেন।

[৫] তার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক দোলন বলেন, ১৯৬১ সালে তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী হিসেবে রেলে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ যুদ্ধ শুরু হলে চাকুরি ছেয়ে চলে যান ভারতে। সেখানে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধ শিবিরে। শিবিরে আশ্রয় নেয়া শরানার্থীদের দেখা-শুনা ইত্যাদির দ্বায়িত্ব পালন করেন। এমনকি শিবিরের যুবকদের পাঠাতেন মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষন ক্যাম্পে। সেখান থেকে ফিরে আসেন বাড়িতে। কিন্তু দেশ স্বাধীনের দীর্ঘ সময় পেড়িয়ে গেলেও বাবার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় না থাকায় বেশ উদ্বিগ্ন ছিলাম। অতপর স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেনসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে যোগাযোগ করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেনের সহযোগীতায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। অনেক চেষ্টার চলতি বছরের ২ আগষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নাম গেজেট ভুক্ত হয়।

[৬] এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধার অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বলেন, রেয়াজ উদ্দিন মুজিব নগরের কর্মচারী ছিলেন। সে সময় তিনি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আমাদের সাথে থেকে দেশের জন্য কাজ করেন। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়