শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ১৫ আগস্ট, ২০২১, ০৪:৩২ দুপুর
আপডেট : ১৫ আগস্ট, ২০২১, ০৪:৩২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] স্বাধীনতার ৫০ বছরে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন রেয়াজ উদ্দিন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: [২] বীর মুক্তিযোদ্ধা রেয়াজ উদ্দিন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ শুরু হলে পাক সরকারের চাকুরি প্রত্যাখান করে মুজিব নগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন ভারতের কোচবিহার জেলার শীতকুচির মুক্তিযুদ্ধ যুব শিবিরে। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শিবিরে আশ্রয় নেয়া শরনার্থীদের দেখা শুনার দ্বায়িত্ব পালন করেন। দেশ স্বাধীন হলে তিনি ফিরে আসেন দেশে। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর নাম ওঠেনি মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়।

[৩] গত ২০১৪ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা রেয়াজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক দোলন বাবার স্বীকৃতির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজসহ অনলাইনে আবেদন করেন। অতপর দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর গত ২ আগষ্ট ২০২১ ইং স্বীকৃতি পান।

[৪] বীর মুক্তিযোদ্ধা রেয়াজ উদ্দিন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সাড়ডুবি গ্রামের ছানার উদ্দিনের ছেলে। তিনি ২০০১ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি ১৯৩৮ সালের ৫ মে জন্ম গ্রহন করেন।

[৫] তার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক দোলন বলেন, ১৯৬১ সালে তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী হিসেবে রেলে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ যুদ্ধ শুরু হলে চাকুরি ছেয়ে চলে যান ভারতে। সেখানে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধ শিবিরে। শিবিরে আশ্রয় নেয়া শরানার্থীদের দেখা-শুনা ইত্যাদির দ্বায়িত্ব পালন করেন। এমনকি শিবিরের যুবকদের পাঠাতেন মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষন ক্যাম্পে। সেখান থেকে ফিরে আসেন বাড়িতে। কিন্তু দেশ স্বাধীনের দীর্ঘ সময় পেড়িয়ে গেলেও বাবার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় না থাকায় বেশ উদ্বিগ্ন ছিলাম। অতপর স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেনসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে যোগাযোগ করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেনের সহযোগীতায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। অনেক চেষ্টার চলতি বছরের ২ আগষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নাম গেজেট ভুক্ত হয়।

[৬] এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধার অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বলেন, রেয়াজ উদ্দিন মুজিব নগরের কর্মচারী ছিলেন। সে সময় তিনি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আমাদের সাথে থেকে দেশের জন্য কাজ করেন। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়