সমীরণ রায়: [২] মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার দৃশ্যমান অপরাধীদের বিচার হয়েছে। কিন্তু বৃহত্তর পরিসরে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার হয়নি। বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার জন্য সিভিল ও অন্যান্য এজেন্সির যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন। এমনকি যারা রাজনৈতিকভাবে যুক্ত ছিলেন তারা সেদিন কেন ব্যর্থ হলেন। তাদের ভূমিকা কী ছিল সেটাও খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত, যারা উপকারভোগী ও ষড়যন্ত্র জানার পরও চুপ ছিলেন, তাদের স্বরূপ উন্মোচনে তদন্ত কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।
[৩] তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাটি ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে আবারও তদন্ত করে সম্পৃক্তদের সম্পর্কে তুলে ধরা দরকার। তাহলে ইতিহাসে রেকর্ড থাকবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে কারা কীভাবে জড়িত ছিল। এ কাজটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
[৪] মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যেখানে ধর্মীয় উগ্রতা থাকবে না। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দূর করা, ধর্মীয় ও অন্যান্য বৈষম্য দূর করে সবাইকে এক জায়গায় এনে বাঙালি প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করা। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি যখন দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি দিয়েছিলেন।
[৫] শনিবার তার বাসভবন থেকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
[৬] বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হালদারের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সহ-সভাপতি অরুণা বিশ্বাস প্রমুখ।