সমীরণ রায়: [২] জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড সুপরিকল্পিত। ১৫ আগস্ট জাতির ইতিহাসে বড় ট্রাজেডি, বিয়োগান্তক ঘটনা। খুনীরা এ হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে জঘন্যতম বর্বরতা নির্মমতা, পৈশিচিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছিল ।
[৩] তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানী আত্মাকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দেহে প্রতিস্থাপন করতে সংবিধান থেকে চার নীতি মুছে ফেলে, দ্বি-জাতিতত্ত্ব ও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা তুলে আনা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নির্বাসিত করে, বেতার-টিভি-গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু নামটি উচ্চাণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
[৪] ইনু বলেন, খুনীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দ্বিতীয় অপচেষ্টা চালাতে থাকে। এরই অংশ হিসাবে জাতির সবচাইতে বিয়োগান্তক ঘটনার দিনে বেগম খালেদা জিয়া তার ভুয়া জন্মদিনের তারিখ নির্ধারণ করে পৈশাচিক উল্লাস প্রদর্শন করতে থাকে। বেগম জিয়া ও বিএনপি ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করে বেগম জিয়ার আত্মাটা বাংলাদেশ ও বাঙালির আত্মা না।
[৫] শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।