রতন কুমার: [২] নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১হাজার ৪০৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়। যা গত বছরের তুলনায় ৫৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভালো ফলন হলে প্রতি একরে ৩০ থেকে ৩৫মণ পাট উৎপাদন হয়। পাটের আঁশ নেওয়ার পর একরে বিশেষ পরিমাণ মতো প্রায় ৫৫০ থেকে ৬০০টি পাটখড়ির আঁটি পাওয়া যায়। বর্তমানে প্রতিমণ পাট বাজার মূল্যে ২৫০০ হতে ২৮০০ টাকা। পাটখড়ি প্রতি আঁটি ২৫ থেকে ৩০ টাকা হিসেবে বিক্রি করছে চাষীরা।
[৩] গ্রামে রান্নার কাজে ব্যবহৃত এক সময়ের অন্যতম প্রধান জ্বালানি ছিলো পাটখড়ি। জ্বালানি ছাড়াও গৃহস্থলির নানান কাজে ব্যবহার করতো সাধারন মানুষ। দিন পরিবর্তনের প্রতিযোগীতায় আধুনিকতার ছোয়ায় রান্নাসহ জ্বালানির বিকল্প হিসেবে মানুষ গ্যাস, কয়লা, কাঠখড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করছে। তাছাড়াও পাটপণ্যের দাম কম হওয়ায়, কৃষকরা পাট চাষ কমিয়ে দিয়েছেন। পাট চাষ কম হওয়ার ফলে পাট খড়িরও যোগান কমে গেছে।
[৪] গত কয়েক বছর ধরে সরকারের পাট অধিদপ্তর পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে পাটজাত পণ্যের ব্যবহারসহ নানানভাবে উৎসাহিত করছেন। ভালো বীজ, পাটের বাজার মূল্যে বেশি পাওয়ায়, কৃষকরাও আবারো পাট চাষে ঝুঁকিয়ে পড়ে।
[৫] বর্তমানে পাট চাষাবাদে কৃষকরা দু’ভাবে লাভবান হওয়া অনুধাবন করছে। একদিকে বেশি দামে পাট বিক্রি অপরদিকে চাহিদা থাকায় পাটখড়িও বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তারা। রান্নার জ্বালানী হিসেবে গ্রামের পাশাপাশি শহরেও রয়েছে পাটখড়ির ব্যাপক চাহিদা।
চাহিদা থাকায় কৃষকরা পাটখড়ি শুকিয়ে নিচ্ছেন। বিস্তৃর্ণ এলাকা জুঁড়ে সারিবদ্ধভাবে পাটখড়ি দখল করেছে গ্রামের সড়ক পথগুলো।
[৬] বেতগাড়া এলাকার আদর্শ কৃষক রবিউল আলম ভুট্টো জানান, দেড় বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি ভালো ফলন হয়েছে। আশা করছি বর্তমান বাজার মূল্যে উক্ত জমির পাট ৫০ হাজার টাকা ও পাটখড়ি ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবো।
[৭] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ আনিছুজ্জামান বলেন, সোনালী আশেঁর সোনালী দিন ফিরে এসেছে। পাট ও পাটখড়ি উভয় পণ্যের বাজারে চাহিদা ও ভালো দাম রয়েছে। কৃষকরা এখন পাট চাষে ঝুঁকে পড়েছে। পাট অধিদপ্তরের সঙ্গে আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর একসাথে কৃষকদের পাট চাষে উৎসাহিত করছি। সম্পাদনা: হ্যাপি