আখিরুজ্জামাান সোহান: ২০ শতকের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মহানায়ক ও কমিউনিস্ট শাসিত কিউবার স্থপতি, সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রোর ৯৫তম জন্মদিন আজ।
ফিদেল ক্যাস্ত্রোর জন্ম ১৯২৬ সালের ১৩ আগস্ট। যিনি ফিদেল কাস্ত্রো বা শুধুই কাস্ত্রো নামে পরিচিত। তিনি কিউবান রাজনৈতিক নেতা ও সমাজতন্ত্রী বিপ্লবী। কিউবা বিপ্লবের প্রধান নেতা ফিদেল ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯ থেকে ডিসেম্বর ১৯৭৬ পর্যন্ত কিউবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, এবং এরপর ফেব্রুয়ারি ২০০৮ এ তার স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কিউবা কিউবার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
কাস্ত্রো চাননি, তাই কিউবায় গেলে তাঁর নামে কোনো রাস্তা কিংবা তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে কোনো স্মৃতিস্মারকের দেখা পাওয়া যাবে না৷ কিন্তু তারপরও তাঁর অস্তিত্ব টের পাওয়া যাবে৷ কাস্ত্রোর চিন্তাধারা স্কুলে পড়ানো হয়৷ অনেক সরকারি ভবনে তাঁর ছবি এখনও ঝোলানো আছে৷ অর্থাৎ কিউবার মানুষের কাছে কাস্ত্রোর মৃত্যুতে কিউবা খুব কম পরিবর্তনই এসেছে৷ মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুসানে গ্রাটিউস বলছেন, ‘‘মৃত্যুর অনেক আগেই সরকার ব্যবস্থা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো৷ কিন্তু তারপরও তিনি সবসময় সবার কাছে একটি প্রতীক হয়ে ছিলেন৷''
১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) চতুর্থ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ও কিউবা ছিল। সেই সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সাক্ষাৎ হয়। সে সময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে আলিঙ্গন করে বলেছিলেন, ‘আই হ্যাভ নট সিন দ্য হিমালয়েজ। বাট আই হ্যাভ সিন শেখ মুজিব। ইন পারসোনালিটি অ্যান্ড ইন কারেজ, দিস ম্যান ইজ দ্য হিমালয়েজ। আই হ্যাভ দাজ হ্যাড দ্য এক্সপিরিয়েন্স অব উইটনেসিং দ্য হিমালয়েজ।’
অর্থাৎ, ‘আমি হিমালয় দেখিনি। তবে শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে এই মানুষটি হিমালয়ের সমান। এভাবে আমি হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতাই লাভ করলাম।’
২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর ৯০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফিদেল কাস্ত্রো৷ ২০০৬ সালে অন্ত্রে অসুস্থতার কারণে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি৷ এর দু'বছর পর ভাই রাউল কাস্ত্রোর হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন৷