মাছুম বিল্লাহ: [২] ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে তৎকালীন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জারের ভারত সফর বেইজিংয়ে গিয়ে শেষ নিক্সন প্রশাসন চীনের জন্য উন্মুক্ত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা কেবলমাত্র বাকি বিশ্বেই ‘ডমিনো প্রভাব’ ছিল না বরং পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ সৃষ্টির সাথে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ইতিহাসের গতিপথও বদলে দিয়েছিল।
[৩] ভারতের রাজনৈতিক ভাষ্যকার সঞ্জয় বারু এবং সিনিয়র সাংবাদিক রাহুল শর্মা সম্পাদিত ‘এ নিউ কোল্ড ওয়ার: হেনরি কিসিঞ্জার অ্যান্ড দ্য রাইজ অব চায়না’ বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেছেন। বুধবার ভারতের দ্য প্রিন্ট এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
[৪] বইটিতে কিসিঞ্জারের সমালোচনামূলক বিশ্লেষণমূলক প্রবন্ধে দ্য হিন্দুর কূটনৈতিক প্রতিবেদক ও ন্যাশনাল এডিটর সুহাসিনী হায়দার বলেছেন, একাত্তরে হেনরি কিসিঞ্জার চীনে গোপন সফরের আগে পাকিস্তানকে ব্যবহার করেছিলেন ... এটি পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) সমীকরণ এবং অবশ্যই বাংলাদেশ সৃষ্টির উপর প্রভাব ফেলেছিল। হায়দার আরও বলেন, বাংলাদেশে কী ঘটছে, সেদিকে যুক্তরাষ্ট্র কোনো নজর দেয়নি।
[৫] দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে তৎকালীন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার বেইজিংয়ে সফরে চীনের সঙ্গে গোপন কূটনীতি স্থাপন করে। এরপর গত ৫০ বছওে চীন অর্থনৈতিক শক্তিধর হয়ে ওঠে এবং বৈশ্বিক ভূ -রাজনীতির গতিপথ পরিবর্তন হয়।