শাহীন খন্দকার: [২] রাজধানীর পান্থপথের বেসরকারি হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতাল এর চিকিৎসকদের উদ্যোগে এই আয়োজন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. পংকজ কান্তি সূত্রধর বলেন, করোনা রোগীদের মানসিক মনোবল চাঙা করতেই, হাসপাতালে এই গানের আয়োজন। বেসরকারি হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, যারা সুস্থ্য হয়ে উঠছেন তাদের জন্য কোভিড ওয়ার্ড প্রাঙ্গণে প্রতিদিন বসে গানের আসর। এ নিয়ে বেশ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন বলে জানালেন, আয়োজক ও অংশ নেয়া শিল্পীরা।
[৩] হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কোভিড ওয়ার্ডের বারান্দায় পিপিই পরে, বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গান গাইছেন এক তরুণ। রোগী-স্বজন ছাড়াও কোভিড রোগীদের সেবা দেয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক নার্সরা তন্ময় হয়ে শুনছেন তার গান। রোগীদের মানসিক বিষন্নতা দূর করতেই এই আয়োজন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
[৪] তরুণের সঙ্গে চিকিৎসক নার্সরাও সুর মিলাচ্ছেন মাটিরও পিঞ্জিরায় সোনার ময়না, বকুল বকুল ফুল, আমার মনও না চায়, ইন্দুবালা এই গানগুলো। এক সময় এই গানগুলো নদীর তীর, বটতলা অথবা স্কুলের মাঠে বসে বন্ধুরা একসাথে গলা ছেড়ে গাওয়া কিংবা হাটে বাজারে কোনো বাউল গানের আসর। প্রথাগত নিয়ম ভেঙে এসব গানের আসর এখন বসছে খোদ হাসপাতালে, কোভিড ওয়ার্ডে।
[৫] ডা. পংকজ কান্তি সূত্রধর বলেন, চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় রোগীরা এখন সেরে ওঠার পথে আছেন, তাদের নিয়েই আমরা এই আয়োজনটি করেছি। রোগীরাও বেশ সাড়া দিয়েছেন। পিপিই পরে, যন্ত্র বাজিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেহ আলী খান আকাশকে গান গাইতে দেখা যায়। আকাশ বলেন, কোভিড ওয়ার্ডে গান গাইতে হবে জেনে শুরুতে একটু ভয় পেয়েছিলেন। গলায় গানের সূর ধরার সাথে সাথে রোগী-স্বজন, চিকিৎসক-নার্সদের মাঝে আনন্দ দিতে পেরে নিজের জীবনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি অনুভূতি প্রকাশ করেন।
[৬] ফাতেহ আলী খান আকাশ বলেন, আমার গানের মাধ্যমে যদি রোগীসহ চিকিৎসক নার্সদের মনোবলও চাঙ্গা হয় তবেই আমি আমার সূুর সার্থকতা। করোনাকালিন এই অস্থিরতার মধ্যে এমন উদ্যোগ বদলে দিতে পারে রোগী-চিকিৎসকে, সেখানেই আমি স্বার্থক।