সুমাইয়া ঐশী: [২] সম্প্রতি একটি সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই দাবি জানান। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের উচিত তাদের সীমান্ত খোলা রাখা। এর ফলে আফগানিস্তানের শরণার্থীরা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে যুক্তরাষ্ট্রে রিসেটেল করার সুযোগ পাবে। ডন
[৩] তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি দুদেশের মধ্যকার চলমান সম্পর্কে আরো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন। আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীকে সাহায্যকারী আফগানদের বিশেষ ভিসা এসভিআই দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করেই এই সিদ্ধান্ত। তবে এসভিআই পাওয়ার আগ পর্যন্ত আফগান শরণার্থীদের ১৪ মাসেরও বেশি সময় আশ্রয় দিতে পাকিস্তান এবং ইরানকে আর্জি জানিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র।
[৪] এক্ষেত্রে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় বেশি সংখ্যক শরণার্থীকে জায়গা দিতে পাকিস্তানকেই চাপ দেওয়া হচ্ছে। ফলে দুই দেশের সম্পর্ক শিথিল হতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মোয়িদ ইউসুফ বলেন, আফগানদের কোনো দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে, কেনো তাদের রিসেটেলের ব্যবস্থা করতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র? এর সবচেয়ে ভালো সমাধান হলো আফগানিস্তানের মধ্যেই তাদের জন্য একটি ভালো ও নিরাপদ ব্যবস্থা করে দেওয়া।
[৫] বিষয়টি নিয়ে একমত ইরানও। দেশটির দাবি, যদি এসব আফগানদে নিজেদের দেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে যুক্তরাষ্ট্রের, তাহলে সরাসরি ফ্লাইটে তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া উচিত।
[৭] ১৯৭৯ সাল থেকেই কয়েক লাখ আফগান শরণার্থীকে জায়গা দিয়েছে পাকিস্তান, এরমধ্যে ত্রিশ লাখ সেদেশেই স্থায়ী হয়েছেন। তবে এতো সংখ্যক শরণার্থীকে জায়গা দেওয়ার মতো শক্ত অর্থনৈতিক অবস্থা নেই পাকিস্তানের, তাই আর কোনো আফগান শরণার্থী নেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে দেশটি।
আপনার মতামত লিখুন :