সাকিবুল আলম: [২] যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু বড় অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগ করেছে মেক্সিকো। অবৈধ অস্ত্র পাচারের ফলে দেশটিতে অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইতোমধ্যেই। বিবিসি
[৩] মেক্সিকো সরকার একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যেই ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। পরবর্তীতে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্মিথ এন্ড ওয়েসন এবং ব্যারেট ফায়ার আর্ম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিবিসির সাংবাদিকরা উভয় কোম্পানির সঙ্গেই যোগাযোগ করেছে।
[৪] যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যে বুধবার এ প্রসঙ্গে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি বলেছে, মেক্সিকোর মাদক চক্র ও অপরাধীদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের এসব কোম্পানিগুলো অবৈধভাবে অস্ত্র পাচার করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। মেক্সিকো সরকার আরো বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো আরো প্রাণনাশক অস্ত্র বিক্রির জন্য নানা ধরনের বিপণন কৌশল অবলম্বন কওে থাকে।
[৫] মেক্সিকো সরকার দাবি করেছে, দেশটিতে অবৈধভাবে আসা অস্ত্রের ৭০ শতাংশই এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। শুধুমাত্র ২০১৯ সালেই মেক্সিকোতে ১৭ হাজারেরও বেশি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে পাচারকৃত অস্ত্রের মাধ্যমে।
[৬] একটি সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারসেলো এবরার্ড জানান, আমরা এ মামলায় জিতবো। আমরা মেক্সিকোতে এ অবৈধ অস্ত্র পাচার বহুলাংশে কমিয়ে আনবো।