রাশিদুল ইসলাম : [২] তালেবানরা দাবি করছে দেশটির ৯০ শতাংশ এখন দখল করে নিয়েছে তারা। কাবুলের গ্রিন জোনের কাছেই শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ। গোলাগুলিও চলছে ওই অঞ্চলে। গ্রিন জোনে আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন ও বিদেশি দূতাবাসগুলি অবস্থিত। ইকোনামিক টাইমস
[৩] মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত আটটা নাগাদ প্রথমবার কাবুল গ্রিনজোনে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিরওয়াইজ স্তানেকজাই বলেন, প্রথম বিস্ফোরণের পরেই বন্দুকবাজরা হানা দেয়। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহত হয় তারা। প্রথম বিস্ফোরণের দু’ঘণ্টার মধ্যে ফের একটি বোমা ফাটে। তারপর শোনা যায় গুলির শব্দ।
[৪] কাবুল পুলিশের মুখপাত্র ফেরদৌস ফারামার্জ বলেন, বিস্ফোরণস্থল থেকে কয়েকশ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়।
[৫] মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, দোহায় শান্তিবৈঠকে যে চুক্তি হয়েছিল, তা লঙ্ঘন করেছে তালেবান।
[৬] এদিকে আফগানিস্তানের রুশ প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জামির কাবুলভ বলেছেন পাকিস্তান, রাশিয়ার ছাড়াও আশেপাশের দেশগুলো চায় কাবুলের স্থিতিশীলতা। এটি হলে এসব দেশ কাবুলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে পারবে। এশিয়া ছাড়াও ইউরোএশিয়ার দেশগুলো এতে লাভবান হবে।
[৭] এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে রাশিয়া ও পাকিস্তান রাজনৈতিকভাবে কাবুলকে সহায়তা করে যাচ্ছে এবং এ পেছনে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানকে বিষয়টি পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মঈদ ইউসুফ ও আইএসআই’এর মহাপরিচালক জেনারেল ফাইজ হামিদ বিষয়টি জানিয়েছেন।