সমীরণ রায়: [২] ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট ঈদ-পরের দিন পিনাক-৬ দুর্ঘটনার শিকার হয়। পদ্মায় স্মরণকালের এই ভয়াবহ নৌ-দুর্ঘটনায় আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় লঞ্চটি। এতে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়। নিখোঁজ থাকে ৬৪ জন। উদ্ধার হওয়া ২১ জনের লাশ মাদারীপুরের শিবচর পৌর কবরস্থানে অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা হয়।
[৩] পাঁচ্চর ইউনিয়নের মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান লঞ্চডুবিতে মারা যান। ঢাকায় ফেরার পথে শিবচরের সন্যাসীচর ইউনিয়ের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মারা যান ফরহাদ। স্ত্রী শিল্পী, এক বছরের সন্তান ফাহিম ও শ্যালক বিল্লালসহ মারা যান তারা। তাদের লাশও শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
[৪] শিবচরের কাদিরপুর এলাকার দুই বোন ও তাদের এক খালাতো বোনেরও মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়। ঈদের ছুটি কাটিয়ে বাবা আব্দুল জলিল মাতব্বরের সঙ্গে ঢাকা ফিরছিল তারা। লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর আব্দুল জলিল উঠতে পারলেও সন্তানদের আর বাঁচাতে পারেনি।
[৫] আব্দুল জলিল বলেন, মেয়ে হারানো বেদনা এখনো কাঁদায়। লঞ্চমালিকদের অনুরোধ করব, তারা তাদের লঞ্চের ধারণক্ষমতার বাইরে যেন যাত্রী না তোলে। একই সঙ্গে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি যেন থাকে।
[৬] মাদারীপুর বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর আক্তার হোসেন জানান, পিনাক-৬ লঞ্চ ডুবির পর যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধারণক্ষমতার বাইরে লোক ওঠানো বা ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল করতে দেয়া হয় না।
[৮] শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, পিনাক-৬ ডুবির পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচলে কঠোর রয়েছে প্রশাসন।