বাবুল খাঁন : [২] টানা অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা পানিতে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি। গত বুধবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বন্যার পানিতে একের পর এক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করে।
[৩] টানা বর্ষণে জেলা সদরের আর্মি পাড়া, ইসলাম পুর, বনানি সমিল এলাকা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে লামা ও আলিকদম উপজেলার সড়ক যোগাযোগ । এছাড়াও বন্ধ আছে থানচি উপজেলা সদরের সাথে তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়নের যোগাযোগ।
[৪] স্থানীয় ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, এদিকে লামায় গত সোমবার থেকে টানা বর্ষণের ফলে উপজেলায় অবস্থিত নদী,খাল ও ঝিরির পানি ফুঁসে উঠে পৌরসভা এলাকার নয়াপাড়া, বাসস্টেন্ড, টিএন্ডটি পাড়া, বাজারপাড়া, গজালিয়া জিপ স্টেশন, লামা বাজারের একাংশ, চেয়ারম্যান পাড়ার একাংশ, ছোট নুনারবিলপাড়া, বড় নুনারবিলপাড়া, উপজেলা পরিষদের আবাসিক কোয়ার্টার, থানা এলাকা, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা বাজাররসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
[৫] এছাড়াও থানচি উপজেলার বলিবাজার ইউনিয়নের হিন্দু পাড়া ও বাগান পাড়া সহ বিভিন্ন পাড়া প্লাবিত হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে অনেক গ্রাম। অনেকে যাতায়তের জন্য ব্যবহার করছেন নৌকা এবং বাঁশের ভ্যালা ।
[৬] এদিকে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার দুই নদী সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে স্থানে যেতে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে প্রশাসন। এছাড়াও দুর্গতদের জন্য জেলায় ১৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসন থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গতদের দেয়া হচ্ছে খাদ্য।
[৭] আলিকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সায়েদ ইকবাল জানিয়েছেন, সড়ক প্লাবিত হয়ে লামা ও আলিকদম এই দুই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল । পানি ঢুকেছে বসতবাড়ি ও দোকানপাটে। গতকাল রাতেই আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে সাধারন মানুষ । আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের গতকাল রাত থেকে দেয়া হচ্ছে খিচুড়ি।
[৮] এ ব্যাপারে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজি জানান, টানা ভারী বর্ষণের কারণে বন্যা ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
[৯] ১৪০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় নেয়া মানুষদের জন্য প্রশাসন পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ