নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের পারসোনেল-৪ অধিশাখার উপসচিব রোকেয়া বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে মহামারী মোকাবেলায় দেশে ৪ হাজার চিকিৎসক এবং ৪ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিডিনিউজ, যুগান্তর
চলমান ৪২তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে নবম গ্রেডে সহকারী সার্জন হিসেবে নতুন চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এর ফলে ৪২তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগ পাচ্ছেন।
এতে বলা হয়েছে, কোডিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) কর্তৃক চলমান ৪২তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে আরও দুই হাজার চিকিৎসক (সহকারি সার্জন) নিয়োগের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় নবম গ্রেডের দুই হাজার চিকিৎসকের (সহকারী সার্জন) পদ রাজস্বখাতে স্থায়ীভাবে সৃজনে সরকারি মঞ্জুরি জ্ঞাপন করছি।
চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, দেশে এই পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসক রয়েছেন ৩ হাজার ৭৯ জন, নার্স ২ হাজার ২৩৫ জন, আর অন্য স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৯ জন। সোমবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে ১৭৪ জন চিকিৎসক মারা গেছেন বলে জানিয়েছে বিএমএ।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ক্যাডারে দুই হাজার সহকারী সার্জন নিয়োগ দিতে গত বছরের নভেম্বরে ৪২তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন। পরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এতে অংশ নিতে মহামারীর মধ্যে প্রথম কোনো বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বসেছিল ২৭ হাজার ৫৭৩ জন সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৬ হাজার ২২ জন। এদের মধ্য থেকে এখন ৪ হাজার জন সরকারি নিয়োগ পাবেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা গত ৬ জুন শুরু হয়েছিল। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত ২২ জুন সেই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। গত বছরের মার্চে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে মহামারী মোকাবেলায় সামনে থেকে লড়াই করছেন চিকিৎসকরা।