মিনহাজুল আবেদীন: [২] কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনেও ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে মানুষের ঢল। পরিবহন ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকায় বেশির ভাগ মানুষই গন্তব্যে ছুটছে পায়ে হেঁটেই।
[৩] মাগুরা থেকে ফিরে আসা সুফিয়ান মাহমুদ বলেন, বিনা কারণে এতো কষ্ট করে তো আর কেউ ঢাকায় ফিরছে না। বেশির ভাগ মানুষ চাকরি বাঁচাতে কিংবা চিকিৎসার জন্যই বাধ্য হয়ে ঢাকায় আসছেন।
[৪] আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন বলছে, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তবে ঈদের ছুটি শেষের আগেই আবারো কঠোর বিধিনিষেধে গণপরিবহন বন্ধ থাকায়। মানুষ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্নভাবে ঢাকায় ফেরার চেষ্টা করছে। কিন্তু লকডাউন বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী সব সময় তৎপর।
[৫] পথযাত্রী লিমা আবেদীন বলেন, সব জেলায় কম বেশি রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা ও মটর সাইকেল চলছে। মানুষের প্রয়োজন মেটাতে কোনো বাধা নেই। যে যার যার মতো করে তার দৈনিন্দন কাজ করছেন। অটোরিকশাগুলো যাত্রীদের পুলিশ চেকপোস্টের আগইে নামিয়ে দেয়। তখন নেমে হেঁটে পার হন তারা। পুলিশ কিছু মানুষকে জিজ্ঞাসা করলেও বেশির ভাগ মানুষই নিরাপদভাবে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন।
[৬] তেজগাঁ থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ডাক্তার ও রোগি যারা আছেন তাদের কাগজপত্র আমরা দেখছি। উপযুক্ত হলে আমরা এলাউ করছি। আর যারা অহেতুক বের হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
[৭] এদিকে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত চলমান থাকবে এই কঠোর বিধিনিষেধ। সম্পাদনা: রাশিদ