মঈন উদ্দীন: [২] কোরবানির বাজার কেন্দ্র করে খামারি ও সাধারণ কৃষকেরা এবার রাজশাহী জেলায় ৩ লাখ ৮২ হাজার পশু পালন করেছিল। কোরবানি হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৯ হাজারটি। এতে এবার অবিক্রি থেকে গেছে প্রায় ৭৩ হাজার কোরবানীর পশু। স্থানীয়ভাবেই চাহিদার চেয়ে বেশি পশু পালন করা হয়েছে এই জেলায়।
[৩] জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীতে এবার কোরবানীর জন্য গরু পালন হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৬৬টি। তার মধ্যে কোরবানি হয়েছে ৬২ হাজার ৮৫৪টি। অবিক্রি থেকে গেছে ৪৩ হাজার ৮১২টি গরু। রাজশাহীতে মহিষ কোরবানি দেওয়ার প্রচলন কম। তাই খামারে মহিষ পালনও কম হয়। এবার ঈদের বাজার সামনে রেখে পালন হয় ২ হাজার ৯৫৬টি মহিষ। এর মধ্যে মাত্র ৩১৫টি মহিষ কোরবানি হয়েছে। তবে ছাগল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা প্রায় অর্জিত হয়েছে। রাজশাহীতে ছাগল প্রস্তুত ছিল প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার। এর মধ্যে কোরবানি হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার। ভেড়া পালা হয়েছিল প্রায় ৩৫ হাজার। কোরবানি হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ৬৬৩ টি।
[৪] মহানগরীর খড়খড়ি এলাকার ওয়াফি অ্যাগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি ৫৩টি গরুর মাত্র ১৫টি গরু বিক্রি করতে পেরেছেন। বড় গরুগুলোই বিক্রি করা যায়নি। তাঁর মতে, করোনা পরিস্থিতির কারণেই বড় গরুর ক্রেতা পাওয়া যায়নি।
[৫] জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইসমাইল হক বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে কে কতটা পশু পালন করবে, এটা নির্ধারণ করে দেওয়া যায় না। তাই যে যাঁর মতো করে পশু পালন করেন। তিনি বলেন, আমরা সরকারকে ধারণা দিয়েছি যে স্থানীয়ভাবে পালন করা পশুতেই কোরবানির চাহিদা মেটানো যাবে। কোরবানির জন্য বাইরে থেকে পশু আমদানি করার প্রয়োজন পড়বে না। তাই বাইরে থেকে কোনো পশু আমদানি করা হয়নি। তারপরও অনেক পশু অবিক্রীত থেকে গেছে।