শিমুল মাহমুদ ও সাদেক আলী: [২] স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আগামী বছরের শুরুতে দেশে আরো প্রায় ২১ কোটি টিকা আসবে। ইতোমধ্যে ৩ কোটি চায়না, ৩ কোটি অ্যাস্ট্রোজেনেকা, ৭ কোটি কোভ্যাক্স, ১ কোটি রাশিয়া এবং ৭ কোটি জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি এগুলো সময় মতো পাওয়া যায় তাহলে বাংলাদেশ কোনো দেশ থেকে পিছিয়ে থাকবে না। যথাসময়ে ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা যাবে।
[৩] শনিবার (২৪ জুলাই) কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ, অক্সিজেন সংকট, হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা ও শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি শীর্ষক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মতবিনিময় সভায় এক জুম মিটিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
[৪] এর আগে এক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, কোভিড রোগির সংখ্যা অব্যাহতভাবে বাড়ার কারণে হাসপাতালের খালি শয্যাগুলো দ্রুত কমে আসায় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০০, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) ৩০০, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১০০টি করে শয্যা যুক্ত করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
[৫] এর বাইরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটির (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন সেন্টারটিকে কোভিড রোগিদের জন্য এক হাজার শয্যার ফিল্ড হাসপাতালে রূপান্তর করা হবে। এর মধ্যে ৪০০টি আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) ও এইচডিইউ (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) শয্যা থাকবে।
[৬] ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির বলেন, প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ রোগি ভর্তি হচ্ছেন। আমাদের এখানে যেসব রোগি আসছে তার ৭০ ভাগ ঢাকার বাইরের। বাকি ৩০ ভাগ ঢাকার কাছাকাছি আছে।
[৭] তিনি বলেন, হাসপাতালে এক হাজার বেডের মধ্যে ৫০০ বেডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সংযুক্ত। এছাড়া সেন্ট্রাল অক্সিজেন ছাড়া ৫০০টি সিলিন্ডার বেইজড ছোট ছোট রুম রয়েছে। প্রতিটি রুমে একজন রোগি রাখা যায়। সেখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্থাপনের জন্য অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হচ্ছে। যা ২০ হাজার লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন। আগামী সপ্তাহে সম্পন্ন হবে।
[৮] কোভিড রোগিদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, যে পরিমাণ আইসিইউ আছে, সেগুলো ফাঁকা থাকার সুযোগ নেই। আজ এখানে রোগি ভর্তি আছে ৭২৪ জন। বিছানা খালি না থাকায় নতুন করে কোনো রোগি নিতে পারছি না। প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০টা নতুন করোনা রোগি আসে। শয্যা না থাকার পরও কিছু রোগি ভর্তি নিতে হয়। এর মধ্যে কিছু কিট্রিক্যাল রোগি শেখ হাসিনা বার্নে স্থানান্তর করা হয়েছে।