আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মৃত মানুষ সামলানোর কাজে হাসপাতালে প্রয়োজন ডোমের। লাশ কাটা ঘরে সেই কাজে ছ’জনকে নিয়োগ করা হবে জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলো কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞাপন দিতে ঝাঁকে ঝাঁকে আবেদনপত্র এল প্রার্থীদের। কিন্তু আবেদনকারীদের যোগ্যতা দেখে চক্ষু চড়ক গাছ কর্তৃপক্ষের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবেদনকারীদের মধ্যে অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত। ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন বিষয়ের স্নাতকোত্তররাও রয়েছেন তালিকায়।
হাসপাতালের ডোমের চাকরির জন্য আবেদন চেয়ে গত ডিসেম্বরেই বিজ্ঞাপনটি দিয়েছিলেন এনআরএস কর্তৃপক্ষ। ছ’টি শূন্যপদ। ন্যূনতম যোগ্যতা অষ্টম উত্তীর্ণ। তা ছাড়া প্রার্থী ডোমের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হলে বা তার লাশঘরে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার পাবেন বলেও জানিয়েছিলেন এনআরএস কর্তৃপক্ষ। তবে আবেদনকারীরা সেই সব শর্তের পরোয়া করেননি। বরং প্রচুর স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ওই কাজ করতে চেয়ে আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন, হাসপাতালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্তাব্যক্তিরা।
পরীক্ষার ভিত্তিতেই চাকরি। এনআরএস সূত্রে জানানো হয়েছে, দু’হাজার আবেদনের মধ্যে ৭৯৮ জনকে পরীক্ষায় বসার জন্য অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। তবে ‘অতি যোগ্য’ প্রার্থীদের ভিড়ে ডাক পাননি ডোমের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থাকা বহু প্রার্থীই।
প্রশ্ন উঠছে হঠাত্ এমন পরিস্থিতি কেন? উত্তর নেই কারোর কাছে। দ্বন্দ্বে পড়ে খোদ এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে কিছুটা আন্দাজ করতে পারছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাদের অনুমান, দেশ বা রাজ্য সব জায়গাতেই বেকারত্বের হার একই। পরিস্থিতি এমন মারাত্মক যে শিক্ষিত যুব সমাজ ঘর সংসার চালাতে ডোমের কাজ করতেও পিছপা হচ্ছেন না। দেশ তথা রাজ্যজুড়ে বাড়তে থাকা বেকারত্বের এক করুণ ছবি ধরা পড়ল কলকাতা শহরে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
আপনার মতামত লিখুন :