শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০২১, ১১:৫৮ দুপুর
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০২১, ১১:৫৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ক্ষমতায় গেলে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তালেবান, আফগান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললেন জয়শঙ্কর ও জারিফ

রাশিদুল ইসলাম : [২] যুক্তরাষ্ট্রকে কূটনীতিক ছাড়া বাকি সব সেনা ও বেসামরিক ব্যক্তিকে আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের শর্ত দিয়ে তালেবানরা বলছে ক্ষমতায় গেলে তারাই পশ্চিমা কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেবে। প্রেসটিভি

[৩] প্রেসটিভিকে সাক্ষাৎকারে তালেবানের সিনিয়র নেতা মোল্লা খয়রুল্লাহ খয়েরখা দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ বিষয়ে তালেবানের আগেই সমঝোতা হয়েছে। তিনি ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের কথিত শান্তি আলোচক দলের সদস্য ছিলেন এবং সম্প্রতি ইরানের মধ্যস্থতায় আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে তেহরানে যে বৈঠক হয় তাতেও অংশগ্রহণ করেন। তিনি প্রেসটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “তারা একথা মেনে নিয়েছে যে, কূটনীতিক ছাড়া সব মার্কিন নাগরিককে আফগানিস্তান ত্যাগ করতে হবে এবং একথাটি সুস্পষ্টভাবে চুক্তিতে লেখা রয়েছে।”

[৪] এই তালেবান নেতা বলেন, সব ন্যাটো সেনাকে আফগানিস্তান ত্যাগ করতে হবে, এমনকি যেসব সেনাকে তাদের দূতাবাসগুলো রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছে তাদেরকেও চলে যেতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো মিত্র দেশগুলো আফগানিস্তানে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার নামে এদেশে দেড় লাখ সেনা মোতায়েন করেছে কিন্তু নিরাপত্তা দিতে পারেনি।

[৫] তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি সমাধানের চেষ্টা করছি যাতে আফগান জনগণই তাদের সরকার নির্বাচিত করতে পারে। সেটা হতে পারে কাউন্সিলভিত্তিক বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায়। এই প্রক্রিয়া নিয়েই মূলত আলোচনা চলছে।” মোল্লা খয়রুল্লাহ খয়েরখা বলেন, বর্তমান মার্কিন সমর্থিত সরকারও টিকতে পারবে না। এদেশের জনগণ একথা জানে এবং এ কারণেই বড় ধরনের সংঘর্ষ ছাড়াই একের পর এক জেলার পতন হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

[৬] এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর আফগান পরিস্থিতি ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। টুইটার বার্তায় জয়শঙ্কর লিখেছেন, দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে জারিফের সঙ্গে তার ‘গঠনমূলক’ আলোচনা হয়েছে। তবে ফোনালাপের ব্যাপারে জারিফ কোনো বক্তব্য দেননি। এ মাসের শুরুতে তেহরান সফর করে ইরানের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ রায়িসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদির একটি বার্তা পৌঁছে দেন। জয়শঙ্কর জারিফকে আফগান পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান। সম্প্রতি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফ আফগান সরকার ও তালেবান প্রতিনিধিদের নিয়ে তেহরানে বৈঠক করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়