কামাল হোসেন: [২] দৌলতদিয়া ঘাটের যানজট নিরসনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৪কিলোমিটার এলাকায় ফেরিঘাটে প্রবেশের ৯ টি ডিভাইডার বন্ধের সিদ্ধান্তের সুফল মিলতে শুরু করেছে।
[৩] সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে দৌলতদিয়া পুলিশ বক্সের সামনে থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারি পর্যন্ত ৪কিলোমিটার অংশে ৯টি প্রবেশপথ রেখে ফোরলেনের কাজ শেষ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
[৪] এই ৯টি প্রবেশপথই কাল হয়ে দাঁড়ায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সৃষ্টি হতে থাকে দীর্ঘ যানজটের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি।
[৫] এসময় এই প্রবেশপথ গুলো ব্যবহার করে অবৈধ পন্থায় মহাসড়কের ডানপাশ দিয়ে পেছনে থাকা অসংখ্য গাড়ি খুব সহজেই ফেরিঘাটে পৌঁছে যেত। ফলে মাঝে মধ্যেই ফেরি থেকে নেমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল গামী গাড়ি ও অবৈধ উপায়ে ফেরিঘাট মুখি গাড়ির মুখোমুখি অবস্থানের ফলে সৃষ্টি হত ভয়াবহ যানজটের।
[৬] এই বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান সড়ক ও জনপথ বিভাগকে অবহিত করে এই ৯টি প্রবেশ পথ বন্ধের সিধান্ত গ্রহণ করে ঈদের আগেই প্রবেশ পথ গুলো বন্ধ করে দেন।
[৭] ঈদের পূর্বেই এসব প্রবেশপথ বন্ধ করার ফলে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়নি দীর্ঘ যানজট ও ভোগান্তি।
[৮] ঢাকাগামী গাড়ি গুলো ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফোর লেন রাস্তার বাম পাশের লেনে প্রবেশ করে যাত্রীবাহি পরিবহন ও পণ্যবাহি পরিবহনের আলাদা আলাদা লাইনে দাড়িয়ে শৃঙ্খলভাবে ফেরিতে গিয়ে উঠছে।
[৯] এসময় যানবাহনের চালক ও সংশ্লিষ্টরা পুলিশের এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জানান, আরও আগে এই উদ্যোগটি গ্রহণ করা দরকার ছিলো। এখন ফোর লেনে আসলে কোন উপায়ে কেউ ডান পাশ দিয়ে আগে যেতে পারবে না।
[১০] নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিউটিরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এই ৯টি প্রবেশ পথ মাঝে মধ্যেই আমাদেরকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলে দিত। এখন এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেয়েছি এবং অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারছি।
[১১] বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, এবার ঈদ উপলক্ষে ফেরিঘাটে বিপুল সংখ্যক যাত্রীবাহী বাস, পশুবাহী ট্রাক ও ব্যাক্তিগত গাড়ীর চাপ ছিলো। এরুটে প্রতি ঈদে ১৮-২০টি ফেরি চলাচল করলেও এবার মাত্র ১৬টি ফেরি চলাচল করেছে। রোড ডিভাইডারের প্রবেশ পথ গুলো বন্ধ করার কারণে এই হাজার হাজার যানবাহন ও যাত্রীরা শৃঙ্খলভাবে কোন ভোগান্তি ছাড়াই নদী পারাপার হয়েছে।
[১২] এ প্রসঙ্গে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, দেশের ব্যস্ততম নৌরুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া। প্রতিদিন দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করে হাজার হাজার যানবাহন পারাপার হয়। পুলিশের সন্মানিত আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ (বিপিএম)-(পিপিএম) বার স্যার এবং ঢাকা রেঞ্জের সন্মানিত ডিআইজি মো.হাবিবুর রহমান স্যারের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ফেরিঘাটে যেন মানুষের ভোগান্তি না হয়। সেই নির্দেশনার আলোকে মহাসড়কের ফোর লেনের প্রবেশ পথ গুলো বন্ধের সিধান্ত গ্রহণ করি। এগুলো বন্ধ করার কারণে ফেরিঘাট এলাকায় শৃঙ্খলা ফিরেছে।