আসাদুজ্জামান বাবুল: [২] করোনার কোন প্রভাব পড়েনি গোপালগঞ্জের ঈদের মার্কেটগুলোতে। সরকারী বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সব বয়সী নারীরা। ঈদের ছুটিতে গ্রামে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীদের ছাড়াও স্কুল কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভীড় ছিলো চোখে পড়ারমতো।
[৩] সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পযন্ত শহরের প্রতিটি মার্কেটের সব দোকান ও শপিংমলগুলো ছিলো কানায় কানায় পরিপুন। সামাজিক দুরুত্বের কোন বালাই ছিলোনা ত্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে। শহরের চৌরঙ্গী, কাপড়পট্রি, থিয়েটার রোড়, কেরামত প্লাজা, স্বনপট্রি, কসমেটিস্কের দোকান, বেদে পট্রি, সাহাপাড়া, বড়বাজার, আলীয়া মাদ্রাসা রোড়ের সকল জুতা স্যান্ডেলের দোকান, গামেন্টস্ দোকান, চুরির দোকান ছাড়াও বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী দোকানগুলোতে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মাস্ক বিহীন ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দুরুত্বের কোন বালাই নাই।
[৪] মএকজন আরেকজনের শরীরের সাথে মিশে কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত। বিশেষ করে প্রতিটি দোকানে শিশু বাচ্চা কোলে এমন মহিলাদের ভীড় ছিলো চোখে পড়ারমতো।
[৫] নাম প্রকাশ না করার শ্বর্তে মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী আমাদের এ প্রতিনিধিকে বলেছেন, করোনার সংক্রমন ঠেকাতে সরকার একর পর এক লকডাউন দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্ত, কই করোনায় মানুষের মৃত্যু এবং আক্রান্ত কি ঠেকাতে পারছেন। সরকার পারছেন সুধু আমাদেরমতো মধ্যবিত্ত মানুষদের না খাইয়ে রাথতে।
[৬] গরীব মানুষদের সরকারও সাহায্য করছেন আবার বিত্তশালীরাও সাহায্য করছেন। কিন্তু আমরা যারা মানুষের কাছে বলতেও পারছিনা আবার হাত পাততেও পারছিনা এমন মধ্যবিত্ত মানুষগুলো না খেয়ে মরছেন তাকি সরকার জানেন এমন কথা উল্লেখ করে ঢাকার ইডেন কলেজ ছাত্রী চৌধুরী আফসানা সাহেদ বলেছেন, করেনায় মৃত্যু ও আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের জন্য এবং করোনার সংক্রমন ঠেকাতে সরকার কতৃক ঘোষিত লকডাউন চলাকালনি সময়ে ঘরবন্দি মানুষদের জন্য সরকার যে পরিমানের খাদ্য সহায়তাসহ নগদ অথ সহায়তা প্রদান করেছেন তাকি ওই সকল মানুষ পেয়েছে বা পাচ্ছেন? মোটেই না।
[৭] সাগরীবের টাকা মেরে খাচ্ছেন সরকার দলীয় এক শ্রেনীর নামধারী নেতা,আমলা ও প্রশাসনের একটা বড় অংশের মানুষ। সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলো যখোন কোন না কোনভাবে সরকারের এসব সহায়তার সংবাদ জানতে পারে ঠিক তখোনই তারা লকডাউন প্রত্যাখানের ঘোষনা দিয়ে পেটের তাগিদে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে।