সুজিৎ নন্দী: [২] রাজধানীতে পশুরহাট শুরু হলেও কাঙ্খিত পরিমাণে বিক্রি করতে পারেননি বিক্রেতারা। সোমবার (১৯ জুলাই) ঈদের দুদিন আগে বিক্রি কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। জমজমাট হচ্ছে পশুরহাট। ঈদের মাঝে আর একদিন বাকি থাকায় এখন যেসব ক্রেতা আসছেন, তারা অধিকাংশই পশু কিনে ঘরে ফিরছেন। ফলে সোমবার সকাল থেকে বেড়েছে বিক্রি ।
[৩] এদিকে দাম কিছুটা চড়া বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। ক্রেতাদের আগ্রহ ৮০ হাজার থেকে একলাখ টাকার গরু। ইজারাদারা জানান, গতবারের চেয়ে পশুর দাম বেড়েছে ১০ ভাগ।
[৪] নগরীর গোলাপবাগস্থ দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মার্কেটের পেছনে, উত্তর শাহজানপুর, ভাটারা (সাঈদনগর), ধূপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব এবং লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাব পশুরহাট ঘুরে এ রকম চিত্র দেখা যায়।
[৫] ইজারাদাররা জানান, গত দুইদিন একদমই বিক্রি ছিলো না। শেষ মুহূর্ত হওয়ায় সোমবার সকাল থেকে বিক্রি বেড়েছে। মঙ্গলবার বিক্রি আরো ভালো হবে।
[৬] এদিকে গরুর দাম বেশি হওয়ায় শেষ মুহূর্তে দাম কমার অপেক্ষায় অনেক ক্রেতারা। হাট থেকে গরু না কিনে ফিরা একজন ক্রেতা জানান, তিনদিনে হাটে এলাম। দাম ধীরে ধীরে কমছে। যতো গরু এসেছে, সেই তুলনায় ক্রেতা কম। শেষ দিন কিনবো।
[৭] তিনি বলেন, আমরা ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা বলেছি, যেনো তারা করোনাকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় কম মুনাফায় গরু বিক্রি করেন। তাতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হবেন। এ বছর গরুর দাম বেশি হওয়ার অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। এ জন্য এখন পর্যন্ত বিক্রির পরিমাণ অন্যান্য বছরের তুলনায় কম।
[৮] ব্যাপারীরা শঙ্কা জানিয়ে বলেছেন, করোনার কারণে ক্রেতার উপস্থিতি সরবরাহের তুলনায় কম হলে শেষ দিন দাম নেমে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে লোকসানের শঙ্কা রয়েছে।
[৯] প্রতিটি হাটে ঢোকা ও বের হওয়ার জন্য পৃথক গেট করা হয়েছে। প্রায় হাটে মাইকিং হচ্ছে, নির্ধারিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটে প্রবেশ-বের হবার জন্য। বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদের হাটে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হচ্ছে।