সুৃজিৎ নন্দী: [২] মানসম্মত স্বাস্থ্য অবকাঠামো, উন্নত স্বাস্থ্যসেবার সহায়কের ভিশন সামনে রেখে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ ও মেরামত, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ ও মেরামত, দেশব্যাপী ১শ’ শয্যা পর্যন্ত সকল প্রকার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অবকাঠামো নির্মাণ, সম্প্রসারণ, উন্নীত করে যাচ্ছে। এইচইডির সূত্রে এতথ্য জানা যায়।
[৩] পাশাপাশি মেরামত ও সংস্কার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অফিস ভবন নির্মাণ, সম্প্রসারণ কাজ প্রত্যাশিত মান অনুযায়ী সম্পাদন করে জনগনের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
[৪] বর্তমানে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বশির আহমেদ, এনডিসি, পিএসসি এর দৃঢ় নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটির আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে নান্দনিকতা, পরিবেশ ও সেবাবান্ধব উপযোগী করে স্বাস্থ্য অবকাঠামো নির্মাণ কাজ বান্তবায়ন করে যাচ্ছে।
[৫] বৈশ্বিক করোনা মহামারীর সময়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর অর্জন অপরাপর সরকারি সংস্থার জন্য অনুকরণীয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন দপ্তরসমূহের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার সর্বোচ্চ, যা শতকরা প্রায় ৯৭ ভাগ।
[৬] এ বছর প্রকৌশল সংস্থাটি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরুপ সম্মাননা পেয়েছে। গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরেও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সাথে সম্পাদিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি দক্ষতার সাথে বাস্তবায়নের জন্য সংস্থাটিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
[৭] স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজের গতিশীলতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বস্তরে শতভাগ ই-জিপি এর মাধ্যমে দরপত্র আহবান, মূল্যায়ন ও কার্যচুক্তি সম্পাদন করে আসছে।
[৮] করোনা মহামারীতে দেশের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কার্যালয় বন্ধ থাকলেও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর কার্যক্রম শুধু চলমানই নয়, বরং আরো বেগবান আছে। সম্মুখসারির যোদ্ধার মত স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর নিবেদিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সততা, স্বচ্ছতা, মেধা, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও পেশাদারিত্বের সাথে নতুন নতুন ‘কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল’ নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
[৯] এইচইডি মহাখালীতে হাইফ্লো নজেল ক্যানুলা সম্বলিত ৫১টি আইসিইউ, ১৭৭টি এইচডিইউ সহ ১২০০ শয্যার ‘কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল’ মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে নির্মাণ সমাপ্ত করে কোভিড চিকিৎসায় যুগান্তকারী অবদান রেখেছে।
[১০] সংস্থার সূত্রে জানা যায়, প্রকৌশল সংস্থাটি এ পর্যন্ত জেলা, উপজেলাসহ জাতীয় পর্যায়ে ২৩টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল মেডিকেল গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনসহ লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক সরবরাহের কাজ করেছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানে রোগীদের হাইফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ সেবা প্রদান করা যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে কোভিড টেস্টের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
[১১] দেশের বিভিন্ন উপজেলায় ৯০টি জিন এক্স্রপার্ট মেশিন এবং ৫১টি ডিজিটাল এক্সরে মেশিনকরেছে। জিন এক্স্রপার্ট মেশিন দিয়ে টিবি রোগ শনাক্তকরণের পাশাপাশি কোভিড টেস্টও মাত্র ৪০-৪৫ মিনিটের মধ্যে নির্ভূলভাবে করা সম্ভব।
[১২] সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বশির আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জনগণের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।