নাঈমুল ইসলাম খান: [১] আমার অভিজ্ঞতায় নেই সরকারি বিজ্ঞাপন এতো কমে যায়, এতোটাই কম যে আমার দিশেহারা লাগছে। জুন মাসেও অনেক কম ছিলো, জুলাই মাসে অবস্থা আরও খারাপ।
[২] মহামারির সর্বশেষ ভয়াবহ পরিস্থিতি, সরকারের ব্যাপক বিধিনিষেধ, অনেক ব্যবসা এবং সরকারি উন্নয়ন কাজে সংকোচনের সাথে ইতোপূর্বেই যুক্ত হয়েছে (কয়েক বছর ধরে) ই-টেন্ডারিং প্রবর্তনের কারণে সংবাদপত্র ক্রমহ্রাসমান বিজ্ঞাপনের সংখ্যা।
[৩] সমস্যাটা সকল সংবাদপত্রের। কমবেশি সকলেই বিপদগ্রস্ত, কিন্তু কোথাও কেউ কিছু বলছে না, বললেও উচ্চকণ্ঠ নয়।
[৪] আমার পত্রিকাগুলোতে সংকট সবচেয়ে বেশি, কারণ এই পত্রিকার তথাকথিত মালিক হিসেবে আমার অন্য কোনো ব্যবসা নেই।
[৫] বাংলাদেশের অন্য সকল সংবাদপত্র মালিকের অন্য ব্যবসা রয়েছে, বড় বড় ব্যবসা। অন্য ব্যবসার জন্য অনেকেই সরকারের কাছ থেকে সুবিধাদি নিচ্ছেন। সেই ব্যবসার লাভ থেকে তারা চাইলেই সংবাদপত্রের ঘাটতি মিটাতে পারেন না।
[৬] মানুষের যেমন উঠতি বয়সে ’পুষ্টি’ চাহিদা বেশি থাকে, আমাদের পত্রিকারও এখন বেড়ে ওঠার সময়। ’পুষ্টি’ চাহিদাও অনেক বেশি, পত্রিকার প্রসার ঘটছে এই কারণেও সংকটের হানিকর প্রভাব বেশি।
[৭] আমার সীমাবদ্ধতার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, আমাদের টিকে থাকার লড়াইয়ে সহযোগিতা বিনীত অনুরোধ করি।