আব্দুল্লাহ মামুন: [২] করোনা মহামারিতে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে রায়ের বাজার কবর স্থানে। কবর খুঁড়তে ব্যবহার করা হচ্ছে স্কেভেটর।
[৩] রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের যারা মারা যাচ্ছেন তাদের শেষ ঠিকানা রায়ের বাজার কবরস্থান। একসঙ্গে অনেক কবর খুড়তে ব্যবহার করা হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ যন্ত্র স্কেভেটর।
[৪] স্কেভেটর চালক বলেন, হাতে দৈনিক ৩০-৪০টি কবর খোড়া সম্ভব হচ্ছে না, যারফলে ব্যবহার করা হচ্ছে এই উচ্ছেদ মেশিন।
[৫] তিনি আরো বলেন, মৃত মানুষের কবর এভাবে খননে কষ্ট হচ্ছে, হাত দিয়ে যতো সুন্দর ভাবে কবর খনন করা যাবে মেশিন দিয়ে তো সেভাবে সম্ভব নয়।
[৬] গত শুক্রবার রায়ের বাজার কবরস্থানে দেখা যায় একের পর এক আসছে লাশের গাড়ি। একজনের দাফন শেষ না করতে হাজির আরেকটি মরাদেহ। দৈনিক কবরস্থান ভারি হচ্ছে স্বজনদের কান্নায়।
[৭] স্বজনদের একজন বলেন, হঠাৎ করে জ্বর আসে তখন নাপা খেতে বলা হয়, কয়েকদিনের মধ্যে ফুসফুস আক্রান্ত করে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে মারা যায়।
[৮] কবরস্থানের সংশ্লিষ্ট কর্মী আব্দুল হালিম বলেন, করোনার জন্য এখন বেশি লাশ আসে কিছু করার নেই।
[৯] অন্য আরেকজন বলেন, হাতদিয়ে কবর খোড়া সম্ভব হচ্ছে না তাই মেশিন নিয়ে আসছে তারা। প্রথম দিকে খারাপ লাগলেও এখন মনটা আস্তে আস্তে ভারি হয়ে যাচ্ছে। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :