হারুন-অর-রশীদ: [২] ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অগ্নিকাণ্ডে একটি বাড়িসহ আটটি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
[৩] বুধবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়র কাদিরদি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিন কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
[৪] রাত পৌনে ১০ টার দিকে উপজেলার কাদিরদি বাজারের গৌতম দত্তের কসমেটিক্সের দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে বোয়ালমারী ও মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘণ্টা যাবৎ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
[৫] বোয়ালমারী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক (সাবেক) ও কাদিরদি গ্রামের বাসিন্দা এমএম শাফিউল্লাহ জানান, রাত পৌনে ১০টার দিকে বাজারের গৌতম দত্তের কসমেটিক্সের দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে তা বাজারের অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।
[৬] আগুনে গৌতম দত্তের কসমেটিক্সসের দোকান, বিভূতি ভূষণ দাসের ধান ও কাপড়ের দোকান, দীনেশ ঘোষের মুদি দোকান,আইয়ুব মোল্লার মুদি-হার্ডওয়্যার দোকান, রিপন ঘোষের হার্ডওয়্যার, মুরাদ শেখের মুদি-ষ্টেশনারী দোকান, মোশাররফ হোসেনের বইয়ের লাইব্রেরী ও আকরামুল আলম টনির পাট-ধান ভূষিমালের গোডাউনসহ বাড়ির যাবতীয় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি টাকা।
[৭] বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন ম্যানেজার আঃ ছত্তার মোল্লা এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে তিনি প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে রাজি না হননি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি আরও জানান।
[৮] আগুনের খবর পেয়ে রাতেই বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ ও থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।