স্পোর্টস ডেস্ক : [২] ইউরো কাপ ফাইনালে হারের পর বর্ণবিদ্বেষ বিতর্কে জেরবার ইংল্যান্ড। টাইব্রেকারে গোল করতে না পারা তিন কৃষ্ণাঙ্গ তারকা মার্কাস র্যাশফোর্ড, জেডন স্যাঞ্চো এবং বুকায়ো সাকাকে সোশ্যাল মিডিয়া তুমুল বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। প্রথমজন অবশেষে মুখ খুললেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অত্যন্ত মর্মভেদী সেই পোস্ট।
[৩] বর্ণবিদ্বেষীদের উদ্দেশে দৃঢ় মনোভাব দেখিয়ে মার্কাস লিখলেন, আমার পেনাল্টি ভাল ছিল না। গোল করা উচিত ছিল। এ নিয়ে যাবতীয় সমালোচনা নিন্দা মেনে নেব এবং ক্ষমা চাইব। কিন্তু আমি কে এবং কোথা থেকে এসেছি তা নিয়ে কোনওভাবেই ক্ষমা চাইব না। আমি মার্কাস র্যাশফোর্ড, বয়স ২৩ এবং কালো।
[৪] পেনাল্টি মিস করা নিয়ে বারবার আক্ষেপ করছেন ম্যান ইউ তারকা। ক্লাব দলে পেনাল্টি স্পেশ্যালিস্ট হিসেবেই বিবেচিত হন তিনি, সে কারণেই তাকে শুধু টাইব্রেকারের জন্য নামিয়েছিল ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। কিন্তু সেই ছক কাজে লাগেনি।
[৫] মার্কাসের ক্ষোভের আরও কারণ শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার কুরুচিকর বিদ্রুপ নয়। লকডাউনে শিশুদের বিনামূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করা নিয়ে অনবদ্য কর্মসূচি চালিয়েছিলেন তিনি। তার অনুরোধেই শিশুদের জন্য ফ্রি-মিল ব্যবস্থা বন্ধ করেনি বরিস জনসনের সরকার। এই জনদরদি কর্মসূচির জন্য ইংল্যান্ড রাজ পরিবার থেকে এমবিই খেতাবও পেয়েছিলেন মার্কাস। দেশের কয়েকটি জায়গায় তার মিউরাল বানানো হয়। কিন্তু পেনাল্টি মিসের পর তাকে খলনায়ক বানিয়ে সেই মিউরালে কালি ছেটানো হয়েছে।
[৬] লিখে দেওয়া হয়েছে বর্ণবিদ্বেষী বার্তাও। সবমিলিয়ে মানসিকভাবে প্রবল আহত হয়েছেন ইংলিশ তারকা। অবশেষে তার প্রতিক্রিয়া দিলেন। -আজকাল