ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম: দৈনিক মৃত্যুহারের দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। দৈনিক শনাক্তের দিক থেকেও বাংলাদেশে এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে। আর এর ভেতরেই ১৫ তারিখ থেকে লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে! আমাদের চিন্তাধারা এমন যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টেরও ঈদ করার শখ আহ্লাদ আছে। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে মুক্ত করা হলো। ঈদের পরে তাকে আবার লকডাউন দিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করা হবে। ১২ জুলাই মারা গেলো ২২০ জন। এর আগে মারা গেছে ২৩০ জন। এই সংখ্যাগুলো আমাদের কাছে ছোট মনে হলেও দেশের মোট জনসংখ্যার সাপেক্ষে সংখ্যাগুলো অনেক বড়।
ভারতে যখন প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার লোক মারা যাচ্ছিলো তখন আমরা বলেছিলাম ‘ভারতের কী ভয়ংকর অবস্থা’! কিন্তু বাংলাদেশের জনসংখ্যা ভারতের চেয়ে সাড়ে আট গুণ কম। সেই হিসেবে বাংলাদেশের ২৩০ জনের মৃত্যু ভারতের প্রায় ২০০০ জন মৃত্যুর সমান। তাহলে কি বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ অবস্থা না? অবশ্যই ভয়াবহ অবস্থা। এর ভেতরে লকডাউন তুলে দিলে গোটা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পরার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। লেখক : সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, শেফিল্ড ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্য