সুজিৎ নন্দী: [২] রাত থেকে অনলাইনে পুরোপুরি শুরু হবে টিকিট বিক্রি। বুধবার থেকে প্রতিটি বাস কাউন্টারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। প্রস্তুত করা হচ্ছে টিকিট কাউন্টার ও দূরপাল্লার বাসগুলো। কিছু কিছু বাসের টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।
[৩] রাজধানীর গাবতলী টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, পরিবহন সংশ্লিষ্টরা গাবতলী বাস টার্মিনালে এসে জড়ো হচ্ছেন। নিজেদের কাউন্টারগুলো খুলে স্যানিটাইজার, স্যাভলন, ডেটল দিয়ে পরিষ্কার করছেন। ময়লা পরিষ্কার করে আবারও নতুন করে কাজ শুরু করার চেষ্টায় রয়েছেন তারা।
[৪] সবার মনে যেন এক ধরনের প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে সাধারণ জনগণ গণপরিবহন চালুর বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। তাদের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি বিরাজ করছে।
[৫] পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আগে এলে আগে পাবেন’ এ নীতিতে চালু হচ্ছে এবারের টিকিট বিক্রি। অন্যান্য বছর যেভাবে ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি করা হয়েছে, এই অল্প সময়ের মধ্যে এবার সেভাবে করা যাচ্ছে না।
[৬] পরিবহন নেতা আরো বলেন, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে গণপরিবহন। এই সময়ে মানুষকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে এবং মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়িতে যাতায়াত করতে হবে।
[৭] ঈদ উপলক্ষে গণপরিবহন চালুর এই খবরে রাজধানীর বাস কাউন্টারগুলোতে শুরু হয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের আনাগোনা। চলছে কাউন্টার ও গাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। গাড়িগুলোর ব্যাটারি ও ইঞ্জিন পরীক্ষা করছেন শ্রমিকরা।
[৮] পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ উপলক্ষে সাত দিন গণপরিবহন চালুর ঘোষণায় পরিবহন শ্রমিক-মালিক উভয় স্বস্তিতে। আগামী সাত দিন গাড়ি চললে পরিবার নিয়ে অনেকটাই ভালোভাবে থাকতে পারবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই সিটে একজন করে যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করবে। এই সাতদিনের পর যেন পরিবহন চলাচল বহাল থাকে এই দাবিও তোলেন তারা।