জাহিদুল হক : [২] জেলার ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের বরুরিয়া গ্রামের শেফালি বেগম আর হাবিল মিয়ার ১৭ বছরের দাম্পত্য জীবন। এ দম্পতির ১৫ বছরের ছেলে সিফাত আর ৫ বছরের মেয়ে উম্মে হাবিবাকে নিয়ে কাটছে সুখের সংসার।
[৩] গত বছর থেকে মানিক, রতন, আন্ডারটেকার আর রক নামের চারটি গরুকেও তারা আপন মমতায় নিজের সন্তানের মতোই লালন পালন করছেন। পরম যত্ন আর ভালোবাসায় গরুগেুলোকে প্রাকৃতিক উপায়ে লালন পালন করে বড় করে তুলেছেন। মানিক ও রতন নিজের জেলার নামে সাথে মিলিয়ে ওদের এ নামগুলো দিয়েছেন।
[৪] আর বাকি গরু দুটি মেয়ে উম্মে হাবিবার মতো একটু দুষ্টু হওয়ায় নাম দিয়েছেন রক আর আন্ডারটাইগার। শখের বশে সাড়ে তিন বছর থেকে চার বছর বয়সী এ গরুগুলো কিনে লালন পালন শুরু করেন তারা। প্রাকৃতিক উপায়ে ওদের লালন পালন করতে গিয়ে খরচ গুনতে হয়েছে কয়েকগুন। খরচ জোগান আর সংসারের আয় বাড়াতে ঈদ উপলক্ষে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। এ খবর আশোপাশের বিভিন্ন জেলার ব্যাপারিদের কাছে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপারিসহ ক্রেতারা ভিড় করছেন তাদের বাড়িতে।
[৫] হাবিল মিয়া বলেন,৩০ মণ ওজনের রতনের দাম ১০ লাখ চারশো ৯৯ টাকা, ২৫ মণ ওজনের মানিকের ওজনের দাম ৮লাখ চারশো ৯৯ টাকা , ২২ মণ ওজনের আন্ডারটেকারের দাম ৭ লাখ চারশো ৯৯ টাকা ও ২০ মণ ওজনের রকের দগাম ৬ লাখ ৫০ হার চারশো ৯৯ টাকা নির্ধারন করেছি। কেউ চারটি গরু একাসাথে নিলে তার জন্য দেড় লাখ টাকার আর একটি গরু উপহার হিসেবে দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন তারা।
[৬] প্রতিবেশী সাহিদুর রহমান বলেন,প্রতিদিন গরুগুলোকে দেখতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। সেই সাথে আশেপাশের এলাকার অনেকেই তুলছেন সেলফি। দূর দূরান্ত থেকে এ গ্রামে এমন চারটি গরু দেখতে আসাতেও খুশি এলাকাবাসী।
[৭] স্থানীয় পশু চিকিৎসক শ্যামল কুমার পাল বলেন,সম্পূর্ন পাকৃতিক উপায়ে এবং প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের দিক নির্দেশনায় গরুগুলো লালন পালন করা হয়েছে।
[৮] জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃমাহবুবুল ইসলাম বলেন., করোনার কারনে কুরবানির পশু বিক্রি কম হচ্ছে। তবে প্রতিটি উপজেলায় অনলাইন মাকের্ট খোলা হয়েছে। এতে করে বিক্রি বাড়বে বলে জানান তিনি।