আনিস তপন : রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে চলমান বিধিনিষেধ আগামী ইদেও থাকবে কিনা তা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। তবে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শে চলমান বিধিনিষেধ আবারও বাড়তে পারে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশে চলমান বিধিনিষেধ সীমিত আকারে শিথিল হলে গণপরিবহন সীমিত আকারেই চলবে। আর যদি পুরোপুরি উঠে যায়, পরিবহনও পুরোপুরিই চলবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মনে করেন, ‘বিধিনিষেধ চলমান থাকলে গণপরিবহন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। আমার মনে হয় যে পরিস্থিতি আছে, সেখানে পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার মতো অবস্থায় আমরা পৌঁছাতে পারিনি।’
জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির মতে, ‘বেঁচে থাকলে জীবনে ঈদ অনেকবার আসবে। আমাদের এই অবস্থা থেকে বের হতেই বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে, সেটি সবার মানা উচিত।’
প্রতিমন্ত্রীর মতে, ‘আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধের সময়সীমা রয়েছে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটিতে (জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি) যারা আছেন, তাদের পরামর্শে সরকার যদি মনে করে বিধিনিষেধ এগিয়ে নেওয়া দরকার, সেটিও হতে পারে। সবকিছুই এখন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী যোগ করেন, ‘সব নাগরিকের সচেতন হতে হবে। আমরা জানি, ঘরে থাকা কঠিন। যুদ্ধক্ষেত্রেও মানুষ ঘরে থাকতে চায় না। কিন্তু এটাও একটা যুদ্ধ। এটাকে না মানায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে গেছে। গ্রামে অনেকে করোনা টেস্ট করছে না, অনেকে মারা যাচ্ছেন। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চললে, আমরা তার সুফল পাবো।’
আপনার মতামত লিখুন :