শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২১, ১১:৫৪ রাত
আপডেট : ১০ জুলাই, ২০২১, ১১:৫৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শরিফুল হাসান: আমরা সব জানি, শুধু জানি না কবে থামবে এই আহাজারি, ‘ও স্যার, আমার মায়ের হাড্ডিগুলা খুইজ্জা দেন, স্যার’

শরিফুল হাসান: আহা জীবন! ৫২ জন মানুষ পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেলো। জীবনের এমন করুণ পরিণতির নামই বোধহয় বাংলাদেশ! একটু অপেক্ষা করেন জানতে পারবেন, কারখানার ভেতরে কেমিক্যাল ছিলো। এরপর শুনবেন বের হওয়ার সিড়ি বন্ধ ছিলো। তারপর জানবেন, ফায়ার সেফটি সামগ্রী যথাযথভাবে ছিলো না। আরও পরে জানবেন, ভবনটা নিরাপদ ছিলো না। সবশেষে হয়তো শুনবেন, বহু ধরনের অনুমোদন ছিলো না। আফসোস! বছরের পর বছর ধরে একই গল্প। সাংবাদিক হিসেবে বহু আগুনে পোড়া লাশ দেখতে হয়েছে। গল্পগুলো একই রকম। একটা কারখানা প্রতিষ্ঠা করতে বহু অনুমোদন নিতে হয়। শুধু অনুমোদনেই শেষ না, এই দেশে সরকারের নানা দপ্তর আছে, যাদের কাজ নিয়মিত এগুলো তদারকি করা। কিন্তু প্রত্যেকটা দুর্ঘটনার পর একই কথা শুনবেন। এই রাষ্ট্রের সবাই যেন ঘুমাচ্ছিলো! কারও যেন কোনো দায় নেই।

তবে এখন দেখবেন, কয়েকটা কমিটি হবে। আগামী কয়েকদিন এ নিয়ে ঢের আলোচনা হবে। তারপর আবার সব হারিয়ে যাবে। এরপর আবার একই দুর্ঘটনা। একই গল্প। লঞ্চ ডুবলে শুনবেন অনুমোদন নেই। ভবনে আগুন লাগলে অনুমোদন নেই। গাড়ি দুর্ঘটনার পর ফিটনেস নেই। অথচ নানান কর্তৃপক্ষ আছে। ঘুষপ্রথা আছে। তদন্ত কমিটি আছে। নেই শুধু মানুষের জীবনের দাম। মাঝে মধ্যে ভীষণ কান্না পায়। অসহায় লাগে। স্মৃতিতে ভেসে আসে নিমতলীর আগুন কিংবা নিশ্চিন্তপুরে গার্মেন্টসে পোড়া শত লাশ। কোনোদিনও কি আমি ভুলতে পারবো স্কুল মাঠে রাখা শত শত লাশের কথা। পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া একটা কঙ্কালের নাকের নোলক দেখে একটা লাশ খুঁজে বের করেছিলো পরিবার। আমার চোখের সামনেই ঘটেছিলো ঘটে।

আমার আজও ভীষণ কান্না পায়। আচ্ছা, এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করা কি খুব কঠিন কাজ? এগুলো তদারকি করা কি খুব কঠিন কাজ? হ্যাঁ, কঠিন কাজ ততোদিন যতোদিন এই দুর্নীতি, ঘুষ প্রথা থাকবে। অসম্ভব ততোদিন যতোদিন শত মানুষের মৃত্যুর ঘটনার পরেও দায়িত্বে অবহেলার কারণে কারও ফাঁসি হবে না। মাঝে মধ্যে ক্রোধে আমার চিৎকার করতে ইচ্ছে করে। কারণ আমি জানি এই দেশে সাধারণ মানুষের আর্তি কখনো বন্ধ হবে না। বরং এভাবেই বারবার বাবা-মায়ের কাধে উঠবে সন্তানের লাশ, সন্তান কাঁদবে মায়ের জন্য। ভাই নিয়ে যাবে বোনের লাশ, বোন অপেক্ষা করবে ভাইয়ের লাশের। আমরা সব জানি, শুধু জানি না কবে থামবে এই আহাজারি-‘ও স্যার, আমার মায়ের হাড্ডিগুলা খুইজ্জা দেন স্যার।’ ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়