শিরোনাম
◈ পারস্পরিক শুল্ক সংকট: চূড়ান্ত দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ ◈ আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ভাগ্যবদল: লটারিতে জিতলেন ৮০ কোটি টাকা ◈ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ১১৮, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনায় হামাস ◈ ‘মব এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী’ ◈ হোটেলে নারীকে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশ ◈ বনানীর জাকারিয়া হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ভিডিও ◈ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ ◈ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ ◈ তিন দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পাবেন না যারা ◈ উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৮ রাত
আপডেট : ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রহমান বর্ণিল: মানুষ হওয়ার জন্য একটা পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে

রহমান বর্ণিল: ইবলিশ ফেরেস্তাকে আল্লাহ কইলো - ‘তুমি আমার সৃষ্টিকে সেজদা কর।’ ইবলিশ সেজদা করলো না। তারপর আল্লাহ ইবলিশকে ওএসডি করে দিলো। অনঅভিশপ্ত ফেরেস্তাসমুহ আর অভিশপ্ত ফেরেস্তা ইবলিশের মধ্যেকার কাজের ধরন, ক্ষমতা, বিচরণক্ষেত্রের ব্যপ্তি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় আদেশ অমান্য করায় ওএসডি'র মাধ্যমে ইবলিশ বরং অন্যন্য ফেরেস্তাদের চেয়ে বেশি ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজিবীদের মধ্যেও যারা ইবলিশ কিসিমে’র দুর্নীতিবাজ তাদের দুর্নীতি প্রমাণিত হলে শাস্তিসরুপ সরকার তাদের ওএসডি করে। এই ওএসডি মানে হচ্ছে দপ্তরবিহীন চাকরি। দপ্তরবিহীন চাকরি মানে কাজ ছাড়া বেতন। অর্থাৎ দুর্নীতি প্রমাণ হওয়ার আগে কাজ করে বেতন নিতে হতো, আর দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পর কাজ না করে বেতন নেয়। আল্লাহর হুকুম অমান্য করায় ইবলিশকে সারা পৃথিবীতে বিচরণ করার, মানুষের মস্তিষ্কে, রক্তে-রন্ধ্রে, শিরা-উপশিরায় প্রবেশের, যেকোন রুপ ধরাসহ আরো নানান ক্ষমতাপ্রাপ্ত করে দুনিয়াতে মুক্তাবস্থায় ছেড়ে দিয়েছে; যেখানে অন্য ফেরেস্তারা সারাক্ষণ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মোটামুটি বন্দি অবস্থায় আল্লাহর হুকুম তামিল করতে থাকে। আমাদের দেশে সরকারি চাকরিজীবীদের দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পর তাদেরও ওএসডি মানে কাজ না করে বেতন নেয়ার সুবিধাপ্রাপ্ত করা হয়; যেখানে দুর্নীতি প্রমাণ না হওয়া বা সৎ চাকরিজীবীদের বেতন নিতে হয় কাজ করে।

প্রায়শই শোনা যায় ‘দুর্নীতির দায়ে অমুক দপ্তরের তমুককে ওএসডি করা হয়েছে’! জিনিসটার ইংরেজি ফুলফর্ম করলে দাঁড়ায় ‘অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’। এই ওএসডি জিনিসটা কীরুপে শাস্তি সেটা কিছুতেই বুঝে আসে না। বাংলাদেশে সরকারি চাকরির একটা প্রায় ইউনিভার্সেল সত্য হচ্ছে ‘সরকারি চাকরি একবার হলে আর কখনোই যায় না।’ ফলশ্রুতিতে একবার সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারলেই চাকুরেরা হরিলুট শুরু করে। কারণ তারা জানে ধরা খেলেও সর্বোচ্চ ওএসডি হবে, চাকরি যাবে না, শাস্তি হবে না। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকার কর্তৃক আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের পুনর্বাসন প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতির দায়ে ইউএনও এবং এসিল্যান্ডসহ মোট পাঁচজনকে ওএসডি করেছে। মানে বসে বসে বেতনের বন্দোবস্ত করেছে সরকার। তাদের চাকরি যাবে না, জেল হবে না, অর্থদণ্ড হবে না। তারা কিছুদিন দপ্তরবিহীন থাকবে। তারপর আবার স্বপদে বহাল হবে বা অন্যকোন পদে বদলি হবে। ব্যাস এটুকুই! অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী যদি শাস্তির নিয়ম না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে অপরাধ কমানোর একেবারে প্রাথমিক প্রচেষ্টাটুকু নেই। আমাদের সরকারি দপ্তরগুলো এই সিস্টেমেই চলেছে। একাডেমিক শিক্ষা শেষে প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরির জন্য বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া লাগে। আমার মনে হয় তারও আগে মানুষ হওয়ার জন্য একটা পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। যারা মানুষ হওয়ার সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে, তারাই বিসিএস পরীক্ষার জন্য মনোনীত হবে। তা নাহলে আমরা ফি-সন বিসিএস ক্যাডার তো পাবো, কিন্তু গৃহহীন এইসব ছিন্নমূল মানুষদের জন্য বরাদ্দের টাকাগুলো থেকেও লোভ সংবরণ করার মতো মানুষ পাবো না। ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়