লিহান লিমা: [২] দীর্ঘকাল ধরেই ‘স্মার্ট সিটি’র উন্নয়ন অনেক দেশের জন্যই মূল অগ্রাধিকার। খুব শীঘ্রই এই তালিকায় যোগ দিতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে জাপানের রাষ্ট্রদূত নওকি ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন যে, জাপান বাংলাদেশে স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে আগ্রহী। টেকওয়্যারএশিয়া
[৩] নাওকির মতে, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ অনেক ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে জাপান। বাংলাদেশে বর্তমানে ৩’শর বেশি জাপানি কোম্পানি কাজ করছে-যা গত ১০ বছরের তুলনায় তিনগুণ।
[৪] বাংলাদেশের জন্য বৃহত্তম এশীয় রপ্তানি বাজার জাপান, যার পরিমাণ ১.৩ বিলিয়ন ডলার। মহামারীর কারণে সৃষ্ট অনেক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে প্রস্তুত।
[৫] নাওকি দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো বাড়াতে কৌশলগত সম্পর্ক বিকাশের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আইসিটি এখন অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো অপারেটিভ এজেন্সি (জাইকা) প্রযুক্তি নির্ভর মানবসম্পদ উন্নয়নে সহায়তার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার বাংলাদেশের পরিকল্পনাকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারে।’
[৬] বাংলাদেশের আইটি সেক্টরকে আরো শক্তিশালী করতে পলক রাষ্টদূতের কাছে সাইবার সিকিউরিটি, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ই-গভর্নেন্সসহ কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পলক বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ইআরডি এর কাছে বাংলাদেশ-জাপান আইসিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পাঠিয়েছি।
[৭] জাপানি কোম্পানিগুলো কর্তৃক স্মার্ট সিটি প্রকল্পে এবং আসিয়ানভুক্ত ২৬টি শহরে কার্বনমুক্ত ব্যবস্থার উন্নয়নে জাপান ২.৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ রেখেছে। টোকিও আশা করছে এই ২৬টি শহরই এই বছরের শেষের মধ্যে নিজেদের স্মার্ট সিটি প্রকল্প উপস্থাপন করবে এবং যোগ্য প্রকল্পগুলো আগামী মার্চের মধ্যেই বেছে নেয়া হবে।