আবুল বাশার নূরু: [২]দেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনের একক প্রচেষ্টায় করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সুরক্ষা অ্যাপে অগ্রাধিকার তালিকায় আইনজীবীদের টিকাগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে।
[৩] এএম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘দেশে প্রায় ৬০ হাজার আইনজীবী রয়েছেন। একজন আইনজীবী হিসেবে আইনজীবীদের প্রতি আমার কিছু নৈতিক দায়িত্বও রয়েছে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবেও আমার দায়িত্ব রয়েছে। তাই সেই দায়িত্বের জায়গা থেকে কাজ করেছি। এসব কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য আইনমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালককে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানাই।’
[৪] আইনজীবীদের টিকা গ্রহণে অগ্রাধিকার দিতে আইনজীবী মো. আবু তালেব হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। রিট দায়েরের পর থেকেই আইনজীবীদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। এমনকি রিটের শুনানিকালে অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারের সঙ্গে ভ্যাকসিনের বিষয়ে আলোচনার অগ্রগতির বিষয়টি হাইকোর্টকে বর্ণনা করেন। এরপর ওই রিটের শুনানি শেষে আইনজীবীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দিতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশের পরপরই এ বিষয়ে তৎপর ছিলেন আমাদের অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি দ্রুততার সঙ্গে অবহিত করেন।’
[৫]ভ্যাকসিনে অগ্রাধিকার পাওয়ার বিষয়ে রিট দায়ের করা আইনজীবী মো. আবু তালেব বলেন, ‘হাইকোর্টে মামলাটি শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল সমর্থন জানিয়েছিলেন। তিনি পূর্বে থেকেই আইনজীবীদের টিকা নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে আসছিলেন। এদিকে আমিও একই বিষয়ে রিট দায়ের করি। কিন্তু আমরা জানি হাইকোর্টের কোনও আদেশ হলে সেটি কার্যকর হতে অনেকটা সময় বিলম্বিত হয়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে হাইকোর্টের আদেশের পূর্ব থেকেই আইনজীবীদের স্বার্থে অ্যাটর্নি জেনারেল নিজেই ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের সঙ্গে কথা বলে আমাদের (আইনজীবীদের) জন্য টিকার অগ্রাধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে অভাবনীয় ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। নিজে সরাসরি যোগাযোগের মধ্য দিয়ে অনেক আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে তিনি আইনজীবীদের সুরক্ষায় এগিয়ে এসেছেন। এজন্য আমরা আইনজীবী সমাজ অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতি কৃতজ্ঞ।’