রাশিদুল ইসলাম : [২] মার্কিন সেনারা বাগরাম বিমান ঘাঁটি ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়টি ঘুণাক্ষরে কাউকে টের পেতে দেয়নি। এমনকি আফগান কমান্ডারকে বিমান ঘাঁটি বুঝিয়ে দেননি তারা। এতে আফগান সেনাবাহিনী অবাক হয়ে দেখতে পায় মার্কিনীরা চলে যাওয়ার ঘন্টা খানেক পর বিমান ঘাঁটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আরটি/টাইম
[৩] বাগরাম বিমান ঘাঁটির নতুন কমান্ডার জেনারেল মির আসাদুল্লাহ কোহিস্তিনি বলেন হঠাৎ করে গুজব শুনতে পাই মার্কিনীরা ঘাঁটিটি ছেড়ে চলে গেছে। সকাল সাতটার সময় চূড়ান্তভাবে টের পাই তারা সত্যিই চলে গেছে। তারা যাওয়ার দুই ঘন্টা পর ঘাঁটির দায়িত্ব গ্রহণ করি।
[৪] ঘাঁটি ছেড়ে চলে যাওয়ার পরই পেন্টাগন থেকে বিষয়টি জানানো হয়। পেন্টাগন বলছে আফগান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে।
[৫] রাতের আঁধারে কাউকে জানান না দিয়ে মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি ত্যাগ নিরাপত্তা ও সতর্কতার জন্যে কি না তাও স্পষ্ট নয়। তবে এপিকে মার্কিন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সনি লেগেট বলেন আফগানিস্তানের নেতাদের সঙ্গে দেশটি ছেড়ে আসার ব্যাপারে সমন্বয় করা হচ্ছে।
[৬] এদিকে কাবুল থেকে বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে আফগান সেনারা আসার আগেই সেখানে লুটপাট চলে। ১০ বছর ধরে আফগান সেনাবাহিনীতে কাজ করছেন এমন এক সেনা সদস্য আব্দুল রউফ বলেন তালেবানরাই লুটপাট চালায়। কাবুল বিমান বন্দরে পৌঁছানোর পরই মার্কিন সেনারা বাগরাম বিমান ঘাঁটি ত্যাগ করার কথা জানায়।
[৭] জেনারেল আসাদুল্লাহ বলেন তারা বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সমর্থ। বাগরাম কারাগারে এখনে ৫ হাজার বন্দী রয়েছে যাদের সিংহভাগই তালেবানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।